অবধি পরা গল্পের মধ্যে প্রেমের আর ভুতের গল্পই সবথেকে বেশি| প্রেমের গল্পে শিহরণ না লাগলেও ,
ভুতের গল্পে শিহরিত হব না এমন আস্পদ্দা আমার আজ ও নেই| মনে পরে ছোটবেলার কথা | বৃষ্টিতে পথঘাট ভেসে গেছে| রাস্তায় জল ছপছপ আওয়াজ করে কেবল কজন নাচার পথচারী ছাড়া সবাই বাড়িতে
খিচুড়ি আর বেগুনভাজা খেয়ে ঘুম এর তোড়জোড় করছে , আমরা ঠাকুরমার পাতলা চাদর তার তলায়
সেঁধিয়ে গিয়েছি,আর ভুতের গল্প বল বলে বায়না ধরেছি | তারপর আধবোজা জানালা দিয়ে আশা মেঘলা আলোয় , ঝিপ্ঝিপে বৃষ্টির শব্দে ঠাকুমার হালকা গলায় ভুতের গল্প| আমরা সবাই এ ওর গা ঘেঁসে পুটুলি
পাকিয়ে চোখ বড় বড় করে গল্পে মগ্ন| নিশ্চিন্তের ছোটবেলা, অনেক দুরে কিন্তু অনেক স্পষ্ট| যখন
সন্ধ্যাবেলা রাতের খাবার বানাই, হয়তো মাছ বা মাংস রান্না করছি,gas এর পাশের জানালার ধরে
কলাগাছের পাতাগুলো নড়ে ওঠে হাওয়ায়, এখনো ঠাকুমার গল্প মনে পরে যায়| একটা হাত
যদি এসে মাছ ভাজা চায় !!!
অনেক ভুতের গল্প শোনা এবং পরার ফলে স্বভাবতই কল্পনাশক্তির ওপর অনেকটা effect হত। একবার
এক আত্মীয়ের বাড়ি গেছি বেড়াতে। বসার ঘরে বাবা মা রা সব গল্প করছে , আমি বই পড়তে
ভালবাসি বলে আমায় তাদের বই ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে explore করতে। খুব খুশি মনে বই এর
তাকের সামনে দিয়ে ঘুরছি , বই গুলো দেখতে দেখতে, হঠাৎ দেখলাম একটা মুখ তাকের ওপাশে ছোট করে সরে গেল , ওরে বাবা ! আমার চেঁচানোর চোটে বসার ঘর থেকে সকলে ছুটে এসেছে। দেখা গেল কে যেন ভুল করে অনেক গুলো বই এর মাঝে একটা ছোট্ট আয়না রেখে দিয়েছিল !
তাকের সামনে দিয়ে ঘুরছি , বই গুলো দেখতে দেখতে, হঠাৎ দেখলাম একটা মুখ তাকের ওপাশে ছোট করে সরে গেল , ওরে বাবা ! আমার চেঁচানোর চোটে বসার ঘর থেকে সকলে ছুটে এসেছে। দেখা গেল কে যেন ভুল করে অনেক গুলো বই এর মাঝে একটা ছোট্ট আয়না রেখে দিয়েছিল !
সেই থেকে ভূত এর বই পড়তে দেখলেই মা খ্যাচখ্যাচ করত। তার যথেষ্ট কারণ ও ছিল। হয়তো মা TV
দেখছে , খুব মন দিয়ে কিছু একটা, মা কে ডাকছি ,
" ও মা !! "
"কি ??"
"শোনো না একটু "
"বল "
"শুনেই যাও না"
"এখানে এসে বল না "
"আহ আসবে ????"
"উফ", বলে সাধের program ছেড়ে মা যখন উঠে এলো , " একটু দাড়াও না এখানে ,
bathroom যাব"!!! তখন মার মুখের চেহারা আর নাই বা বললাম|
এর পর গল্পের বই ছেড়ে যখন computer,CD,DVD র যুগ| একদিন দুপুরে আমরা তিনজন কলেজ এ ক্লাস এর পর অদিতির বাড়ি গেলাম| জানালা দরজা বন্ধ করে ঘর অন্ধকার করে ভুতের সিনেমা
দেখব| শুরু হল| পুরো সিনেমাটা দেখলাম| তারপর বুঝলাম যাদের মানুষ ভাবছিলাম সিনেমায় তারাই আসলে ভূত| কিন্তু এত দেরিতে বুঝেছি যে ততক্ষণে ভয় পাওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে| পরে আলাদা করে নেট এ গল্প টা পরে বুঝতে হল যে কোথায় কোথায় ভয় পাওয়া উচিত ছিল|
আমার পা ও তো ভেঙ্গেছিল এই ভুতের গল্পের দৌলতে. তখন PG তে নতুন গেছি.এরকম ই বৃষ্টির দিন. বাইরে বেরোনোর কোনো scene নেই. চা খাচ্ছি আর আমরা চার পাঁচ জন গল্প করছি, বাকি PG খালি| গীতু একটা গল্প শুরু করলো| একটি মেয়ে একটি হোস্টেল এ নতুন এসেছে, আর তার একটি বন্ধু জুটেছে যাকে বাকি হোস্টেল এর কেউ চেনেনা , মানে সেটাই ভূত টা আর কি, বলতে বলতে গল্পের climax এ গীতু চোখের নিমেষে আমার মুখের সামনে মুখটা এনে এমন ভয়ংকর একটা মুখ বানালো যে আমি একে তো গল্পের flow তে ছিলাম, এত ডুবে গেছি যে পত্রপাঠ ভয় পেয়ে খাট থেকে দিয়েছি লাফ. বৃষ্টির জল পরে মেঝে ভেজা , বাস দু সপ্তাহের জন্য sickleave, পায়ে plaster| পরে জেনেছিলাম, যেই PG তে নতুন আসে তাকেই এই গল্পটা এভাবেই শোনানো হয়| গীতুরা বলল যে ওরা অবিশ্যি আগে কখনো কাউকে এরকম ভয় পেতে দেখেনি| যাই হোক এই ragging টা ওরা এর পর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল|
আমার এক বন্ধুর jointfamily তে বিয়ে হয়েছে. প্রচুর লোকজন বাড়িতে. তার সাথে এক দূর সম্পর্কের ঠাকুমা শাশুড়ি ও আছেন| খুনখুনে বুড়ি| কিন্তু নাতবৌ রা jeans পড়লে বা step কাটলে চোখ এড়ায়না| তা নিয়ে বলতেও ছাড়েন না| একদিন সবাই paranormal
activity দেখছে আর ভয় এ কাঁটা হয়েআছে| Movie শেষ হল| সবাই গুটি গুটি নিজের ঘরে যাবে| ঠাকুমা বলে উঠলেন, " অ নাতবৌ ! একটানাচ নাই , গান নাই , এইটা কি বই দ্যাখলা ??"
গল্প শেষ করি আমাদের পাশের বাড়ির সন্তুর কথা বলে| খুব ভদ্র ছেলে.রাস্তায় কাউকে "বৌটা" , "লোকটা" বলে উল্লেখ করে না| এমন কি খবরের কাগজে ছাপা কোনো ছবি ও (including নিরুদ্দেশ -রcolumn) -কাকু. Dabang দেখলে বলে " কাকু টা কি মারামারি করলো!! " evil dead দেখতে বসে যখনভূত টা মেয়েটার চুলের মুঠি ধরে তুর্কি নাচন নাচাচ্ছে , সন্তু বলে উঠলো " উঃ ! কাকিমাটা মেয়েটারে কিঅত্যাচার টাই না করতে আছে!!
" কাকিমা মানে ভুত টা আর কি !!
Author : Sucharita
No comments:
Post a Comment
Please share your valuable feedback