Saturday, February 20, 2016

Colorz Photo Fiesta 2016

Hurray !! Colorz Photo Fiesta - The Photography Contest is back. 
Share your best clicks with us
Mail to thejhaalmurigang@gmail.com
Last Date: 10th march


Rules and Regulations:
  • The theme of the photograph should be Colors of the world.
  • Mail your entries to thejhaalmurigang@gmail.com
  • Please provide the following information along with the image:

Your Name:
Email Id:
Image Title:
Image Description:
Device Used : (DSLR/Point and Shoot/Mobile Camera/Others)

  • Maximum number of submission by any individual: 2
  • Photograph submitted should be the original work of the participant.
  • You can capture photograph using Camera, Mobile or any other digital & analog device.
  • Photograph should not contain any obscene, profanity, or should not hurt any religious or public sentiment.
  • Do NOT delete the EXIF information of the photograph
  • Accepted Image format JPEG/JPG
  • Maximum image size: 5 MB
  • Post production is allowed.
  • Photographs submitted in this event can be used by Jhaalmuri in its other publications with mention of the name of the photographer.
  • Last date of submission: 10th March 2016
Jhaalmuri may decide to exclude any photograph from the contest due to violation of any of the rules above or otherwise.

Lets brighten up this Holi with a burst of colors.

Monday, February 1, 2016

সম্রাট ও সুন্দরী


শীতের দুপুরে পুরো উঠোন ঝলমলে রোদে ভরে আছে। আর সেই উঠোনে সম্রাট ও সুন্দরী ছুটে বেড়াচ্ছে। একবার বাইরের বারান্দায় তো একবার পুকুর পারে, কখনো বা রান্না ঘরে ঢুকছে আর কখনো মিনির পেছনে ছুটছে। বাড়ির সবচেয়ে আদরের তারা। জেঠিমা ওদের জন্য দুধ জাল দিচ্ছে, মাছের দুটো বড় পিস ওদের জন্য কড়া করে ভেজে রাখছে। মেঝকা ওদের জন্য বল নিয়ে আসছে।

সারাদিন খেলা, দুষ্টুমি আর দৌড়ে বেড়ানো। বাড়ির কারো এতে আপত্তি ছিল না। কেবল মাত্র ঝুমঝুমি দিদা ওদের সহ্য করতে পারত না। সম্রাট- সুন্দরী দিদার সামনে আসলেই চেঁচিয়ে উঠত “ধাক্কাখাউরা দূর হ!!”

ঝুমঝুমি দিদা এ বাড়ির ভাড়াটে। তার ছেলে ভোলার সাথে পুকুর পারের পাশে দুটো ঘর নিয়ে থাকে। রেশন কার্ড এ দিদার নাম সরলা বালা দেবী। কিন্তু সে ঝুমঝুমি নামেই পরিচিত। কারণহল তার অদ্ভুত বাতিক। পোস্টম্যান দিপক পাল ভুলে ভুলে মানি অর্ডার এর খাম টা হাতে ঠেকিয়ে দিলে সে গালাগাল দিয়ে পুকুর পারে গিয়ে দু বালটি জল ঝম ঝম করে ঢেলে নেবে গায়ে। কাক মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেলে আবার ঝমঝম, সুলেমান মালি নারকেল গাছ থেকে নারকেল পেড়ে রেখে দিয়ে গেলে  আবার ঝমঝম – ঝমঝমের লিস্ট আর শেষ হওয়ার নেই – সেই থেকেই নাম পরে গেল ঝুমঝুমি দিদা। সম্রাট -সুন্দরী ও দিদার পেছনে লাগবে। দিদা ডালের বড়ি উঠোনে শুকোতে দিলেই হল – সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে চলে যাবে কুলোর ওপর দিয়ে।  তারপরেই সেই বিকট চিৎকার - “ধাক্কাখাউরা দূর হ!!” হাতের সামনে যা কিছু পাবে দিদা ছুড়ে দেবে ওদের উপর। এইভাবেই কেটে যাচ্ছিল সম্রাট ও সুন্দরী এবং ঝুমঝুমি দিদার শীতকাল।

সে এক দিনের ঘটনা। ভোলা মায়ের সাথে তর্কাতর্কি করে সকালে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরল। এমন মাঝে মাঝেই হত। দিদা জানত এ রাগ বেশীক্ষণের নয়। রাতে আবার সে ফিরে আসবে। তাই দিদা গুসা ভাঙানর জন্য ভোলার প্রিয় কাতলা মাছের ঝাল ও শিদল চাটনি বানিয়ে রাখল। রাতে দিদা চোখে ভালো দেখতে পায়না। হ্যারিকেন জালিয়ে রান্না ঘরের পাশে বসে ঠাকুরের নাম জপছিল। তখনি সে পুকুর পারে শব্দ পেল। ভাবল ভোলা ফিরেছে। “কি রে ভুলা, আইসস নি?” কোনও উত্তর নেই। তাহলে রাগ এখনো কমে নি। রান্না ঘরের দরজা খুলে দিয়ে দিদা অন্ধকারে একটা ছায়া মতন দেখতে পেল। “পুকুর পারে কিতা কররে, আয় ঘরো আয়। হাত পা ধুইয়া খাইতে আয়। “ ছায়া মূর্তি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রান্না ঘরের দিকে এগোল। কোণে গোবর রাখা ছিল। ব্যাস, ধড়াম করে পরলেন পা পিছলে। দিদা তো রেগে আগুন – “দেখতে পারস না নি – কানা নি রে?? যা জল ঢাইল্যা আয়।”   

চুপচাপ সে পুকুরে ধুয়ে ঘরে ঢুকল। দিদা ভাত বেড়ে রেখেছে। সে খাওয়া শুরু করল। হঠাৎ দিদার খটকা লাগল। ভোলা কে কেমন যেন লাগছে। দিদা আবার চেঁচাল – “ভুলা, আমার চশমাটা নিয়া আয়” কোনও উত্তর নেই। সে খেতে ব্যস্ত। তারপরেই ঘটনাটা ঘটল। হুরমুর করে ছুটে এসে সম্রাট ও সুন্দরী ছায়া মূর্তির ওপর ঝাপিয়ে পরল। আর তাকে কে বাচায়। আঁচড়ে কামড়ে অবস্থা খারাপ। ঝুমঝুমি দিদা তো পুরো থ। চ্যাঁচামেচি শুনে বাড়ির সকলে ছুটে এলো। হাবু চোর ধরা পরল। দিদা কাপড়ের খুঁটে চোখ মুছছেন। সম্রাট ও সুন্দরী আবার দৌড়ে চলে গেল বাইরের বারান্দায়। কিছুক্ষণ পর ভোলা ফিরে এলো।  

পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই শোনা গেল ঝুমঝুমি দিদার বিকট ডাক “ওই ধাক্কাখাউরা তরা কৈ গেলি রে? এইদিকে আয়” এক বাটি দুধ এনে দিদিমা উঠোনে রাখলেন। সম্রাট ও সুন্দরী গুটিসুটি এসে বাটির পাশে বসল। দিদা নরম সুরে বললেন “ আর আমার বড়ি মারাইস না বুঝছস” দুধ চাটতে চাটতে মিনির প্রিয় বিড়াল ছানা দুটি বলল “মিঁয়াওও”।



Jhaalmuri Winter Special 2016


হিমেল হাওয়া মাঙ্কি টুপি 

Story by +amlan dutta 

কলকাতায় সেরকম শীত পরে না শুনি  আজকাল,  সেরকম করে নাকি  কাক ভোরে কুয়াশা হয় না আগের মতো, আগের মতো মানে কত দূরের কথা সেসব, ওই যখন স্কুলে পড়তাম সেই সব দিন আর কি,  ভোরের স্কুল, ৬ টা ৫  এর প্রেয়ার, এক গ্লাস গরম দুধ  আর মাঙ্কি টুপি। মনে নেই মিল্টন এর ওয়াটার বোতল পাওয়া যেতো, duckback এর ব্যাগ, রাস্তায় জুতোর ফিতে খুলে গেলে বাবা নিচু হয়ে জুতোর ফিতে বেঁধে দিতো, মুখ দিয়ে ধোঁওয়া ছেড়ে বলতাম আমিও তোমার মতো সিগরেট খাচ্ছি, এই সব কত দিন আর আগের কথা, ছুটির দিনে আমার একতলা বাড়ির ছাদে রোদে দেওয়া সব লেপ তোষকের মাঝে সেই শুয়ে শুয়ে কমলালেবু খাবার দিন কি তবে শেষ বিকেলের শীত এর সাথে মিলিয়ে গেল। হতেই পারে না, এই তো কিছুদিন আগেও শীত পড়লে  বাড়িতে একটা নেসকাফের ছোট কৌটো আসত, বাবা অফিস থেকে ফেরার পর মাঝে মাঝে আমিও ভাগ পেতাম, বিশ্বাস করুন এত সাহেব মনে  হত না  নিজেকে, ফেনা ওঠা নেসকাফের থেকে ভালো কিছু আমি আর এ জন্মে খেয়েছি নাকি মনে করতে পারি না, যদিও আমারটাতে ভীষণ বেশি দুধ আর চিনি থাকত, তখন থেকে ছেলের জিভটা তৈরি হয়েছিল বলেই না সে আজকাল দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়, কায়দা করে star bucks এ গিয়ে মুখ বদলাতে সে আবার নাকি chai latte খাচ্ছে, সে যখন জাপানে ছিল একবার green tea টা চেষ্টা করেছিল, পারে নি, কিন্তু সে হেরে যায় নি, কলকাতার শীত বুকের ভেতর কড়া নাড়লেই সে একটা chai latte এ খেয়ে নেয়।  আজ থেকে বছর ১৫ আগে মায়ের যে উলের শালগুলো  ঝেড়ে পরে  পাড়ায় আড্ডা দিতে বেরোত, তার গন্ধ ভেসে এলে সে hood টা মাথার ওপর টেনে নেয়, তবু এই হ্তছাড়ার দেশে ঠান্ডা কিছুতে মরে না।  আজও মায়ের শাল থেকে একটু দুরে তার বইমেলা শুয়ে থাকে, টান টান ময়দান, ধুলো ধুলো আকাশ।

বইমেলা টাও দিক ভুল করে ধাপার দিকে চলে গেল, ইতিহাস হয়ে গেল জানেন, লিটল ম্যাগ হাতে কত গুলো ছেলের capstan এর প্যাকেট আর ৭ দিনের পাস পাওয়ার দিন, ওই পায়ের ছাপ আর হাওয়াই চটির দিন। ৫ টাকার ঘুগনি আর আলুর চপ ভাগ করে খাবার দিন, কলকাতায় কি তবে সেরকম শীত পরে না আজকাল। 

শীত কাল বলতে একটা অবধারিত পিকনিক হত, সেই পাড়া পিকনিক, যেখানে মেয়েদের  সাথে ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ পাওয়া যেত বছরে একবার, খিচুরী হত মশাই, শেষের দিকে আমরা যারা পরিবেষণ করে খেতে বসতাম, একটা দুটো ঠান্ডা বেগুনি আর হলুদ রঙের কিছু একটা জলের মতো, খিচুড়ি ভেবে খেতাম, তৃপ্তি ছিল কিন্তু, matadorএ উঠেই মাথায় একটা মাফলার এর পুঁটুলি করে নিতাম, সুন্দর দেখাত কিন্তু আমাদের, উপায় ও তো ছিল না, কলকাতায় তখন ১২ আর মফস্বলে তো আরো ১ ডিগ্রী কম, হতেই হবে গাছ পালা কত বলুন?

এই সব দেশে আবার মাইনাস ২০-৩০ টেম্পারেচার হয়, কি বোকা বোকা না বাপারটা, একটা চিরহরিত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মফস্বলের ছেলে কে আর কত আতলামো না নিতে হবে, কি আর করা যাবে, বিদেশ বলে কথা বাবা, ঠান্ডা কি কলকাতার মতো এত সস্তা হবে নাকি। 

জানেন, সেই যে খুব ছোটবেলা যখন মা আমার বেশ সাজগোজ করত, আমি বাবা আর মা শীতের সকালে ময়দানে যেতাম, গঙ্গার ধার, outram ঘাট, মায়ের হাতের বাঁধা রুমালে এখনো বোধহয় সেদিনের কমলালেবুর গন্ধ পাবেন, আমার শীতকাল বুঝি আজকাল সেখানেই থাকে, ময়দানের বুক চিরে যে ট্রামটা খিদিরপুরের দিকে যায় সে কিছু শীতকাল নিয়ে গেছে আমার। কিছুটা ক্লাস ১২ এ জীবনানন্দ খেয়ে নিয়েছে, কিছুটা পরে আছে college - এর সিঁড়িতে, সেই যেবার নীল কার্ডিগান, মুখে শীতের রোদ, মুগ্ধতা আর বোরোলিনে মাখামাখি হয়ে কিছু শীতকাল পরে আছে সেখানে। কিছুটা তো বাবা নিয়ে চলে গেল তারায় ভরা আকাশের নিচে একা ফেলে, কিছুটা পার্ক স্ট্রিট এর নামে লিখে দিয়েছি, কিছুটা বড়দিনের বেছে বেছে সব থেকে ছোট cake টাকে খাইয়েছি, কিছুটা বিলিয়েছি পাড়ার বন্ধুদের, বাকি টুকু শুধু নিজের শীত, যার ভাগ হয় না, যেটা অবুঝ কুয়াশার মতো নেমে আসে আর অসহায় বোঝায়, মন খারাপের ওপারে সান্তা ক্লজ থাকে, তোমারও মোজা উপহারে ভরে যাবে একদিন, ঝকে ঝকে রোদ উঠবে খুব, সব কটা ফুটপাথ এর কুচো কাঁচার দল cake ভাগ করে খাবে, পার্কস্ট্রিটে সেদিন বিকেল থেকে আলো জ্বলে  উঠবে,  সেদিন কেউ আর একা হেঁটে বাড়ি ফিরবে না, সেদিন আমি আমার সব কটা ডাকনাম ফিরে পাব আর আমার সব হারিয়ে যাওয়া বন্ধুরা এক পেগ বেশি খাবে আমার নামে,  কে যে বলে কলকাতায় নাকি শীত পরে না আর?


Jhaalmuri Winter Special 2016

Download the e-magazine from 
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...