Thursday, December 19, 2013

Tajpur - The pristine beach

রোজের একঘেয়ে কাজের বেড়াজাল টোপকে খোলা আকাশের নীচে মুক্তির শ্বাস নেবো ঠিক করলাম  ঝট কোরে নেওয়া সিদ্ধান্ত। তাই ছোট্ট ছুটির ফাঁকে মানে সপ্তাহান্তের ছুটিতেই আমাদের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিলাম তাজপুরকে।বাঙলার ভ্রমণ  মানচিত্রে তুলনামূলক নতুন দিশা ।                                                              
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তদারকিতেই, তাজপুর , শীতের ছুটির পর্যটকদের জন্য সেজে উঠছে ।দিঘা যাওয়ার মূল রাস্তায় বালিসাই মোড় থেকে তাজপুরের  রাস্তা বেঁকে গেছে ।দুইধারে মাছের ভেড়ীর মাঝে উঁচু বাঁধের ওপর সদ্য পিচ ঢালা মসৃণ একটাই রাস্তা চলে গেছে এঁকে বেঁকে তাজপুরের অন্দরে;শেষ হয়েছে সমুদ্রের ধারে মোহনার কাছে 


তাজপুরের প্রায় সমস্ত হোটেল ,রিসোর্ট  এই রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠেছে ।আমরা বেছে নিলাম নিউ সোনার বাংলা রিসোর্টটিকে।রিসোর্টটির প্রধান আকর্ষণ সামনেই বিস্তৃত ঝাউবন।এই ঝাউবনের মধ্যে দিয়ে দশ মিনিট হাঁটলেই তাজপুরের সৈকত ।আমরা রিসোর্টে চেক-ইন করেই দৌড়লাম সমুদ্র-স্নান উপভোগ করার উদ্দেশ্যে।মাঝপথে ঝাউবনের নিস্তব্ধ সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করলাম।তখনও জানিনা সৈকতে আমাদের জন্য দুটো চমক অপেক্ষা কড়ছে।  প্রথম চমক সৈকতে আমরা সাতটি মানুষ ছাড়া আর একটিও মানুষ নেই।তবে যারা আছে তাদের দেখেই দ্বিতীয় চমকটা লাগলো। সৈকত ভরে আছে ছোটবড় লাল কাঁকড়ায়।কিছুক্ষণের মধ্যেই সাতটি মানুষ ও সহস্র লাল কাঁকড়ার মধ্যে শুরু হল লুকোচুরি খেলা।মিনিট পাঁচেক পর হতাশ মানুষের দল নিমগ্ন হল সমুদ্র স্নানে।


দলের কনিষ্ঠতম সদস্য টিনটিনের প্রথম সমুদ্রস্নান,তাই সমুদ্রের নোনাজলের ঢেউ প্রাথমিকভাবে ভ্যাবাচ্যাকা বানালেও আনন্দ লাভে দেরি হয়না। দেড় ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ভাবে ঢেউয়ের সাথে লড়াই,খেলা,হুটোপুটি করে রিসোর্টে ফেরার উদ্যোগ নেওয়া হল। এতখানি সময়ের মধ্যেও সৈকতে একটিও মানুষকে দেখতে পেলামনা
রিসোর্টে ফিরে খাওয়া পর্ব সেরে বেরিয়ে পড়লাম তাজপুরের বিখ্যাত সৈকতে সূর্যাস্ত দেখার আশায়।আশা ব্যর্থ হলনা।দেখলাম কিভাবে অস্তগামী সূর্যের কিরনে সৈকত হোয়ে ওঠে স্বর্ণাভ। ধীর অলস পায়ে হাঁটতে থাকলাম মোহনার দিকে।


মোহনার উল্টোদিকে মন্দারমনি।তাজপুর সৈকতের এই অংশটিতেই কয়েকটি চা-জলখাবারের দোকান রয়েছে তাই কিছু মানুষের সমাগম হয়েছে।প্রতিটি দোকানেই কয়েকটি করে দড়ির ঝোলা টাঙ্গানো আছে। সন্ধ্যা নামতেই দূরে মন্দারমনির হোটেলের আলো জ্বলে উঠলো একটা দুটো করে। আলোময় ঝলমলে জগত থেকে অনেক দূরে থাকায় শহুরে ক্লান্তি হল এক নিমেষেই উধাও। ফিরতি পথে লক্ষ্য করলাম এক বিশেষ ব্যবস্থা।একটি নোটিশ বোর্ডে লেখা রয়েছে ‘তাজপুর সৈকতে গাড়ি চালানো নিষেধ ,কারন এখানে লাল কাঁকড়ার বাসস্থান রয়েছে’। বেশিরভাগ উন্নয়নমুখী পর্যটনকেন্দ্রের স্থানীয় পরিবেশ ও প্রাণীর বিনাশ ঘটে থাকে।তাজপুরের ক্ষেত্রে স্থানীয় উন্নয়ন পর্ষদ তাই প্রথম থেকেই দুটি বিষয় সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে।সৈকতের ধারে কোন হোটেল ও রাস্তা গড়ে তোলা হয়নি ।  

পরেরদিন সকালে সৈকতে গিয়ে দেখি সমুদ্র সরে গেছে প্রায় ১কিমি দুরে,আর তাই বিস্তৃত বালুতটে চলছে অ্যাডভেংচার স্পোর্টসের ব্যবস্থা ।একটি জীপের পিছনে দড়ির সাথে প্যারাস্যুট যুক্ত করা হচ্ছে যেটা একজন মানুষের দেহে লাগানো থাকছে জীপ সামনে এগোলে মানুষসহ প্যারাস্যুটটি আকাশে উড়ছে ।ফলে কয়েক মুহূর্তের জন্য মানুষ নিজেকে পাখি বলে অনুভব করবে। সত্যিই  অ্যাডভেঞ্চার।বাঙ্গালি নাকি ভীতু জাতি ,কিন্তু এই পাখি হওয়ার বাসনার জন্য যা লম্বা লাইন দেখলাম,তাতে প্রবাদটিকে সত্য বলে মনে হল না । 


ফেরার পথে অনুভব করলাম ধীর উন্নয়ন ও সীমিত পর্যটক সংখ্যা এই সৈকতকে এখনও রেখেছে তরতাজা,আদিম,সুন্দর।তাই ভয়হয় পরের বার এখানে এসে, একি রকম ভাবে পাবো কি তাজপুর সৈকতকে? 



Travelogue by Anindita Das

Monday, December 9, 2013

My Shillong, the queen of Hill Stations


 ---   Debarati Bhattacharjee
        
Yes, it was my home, my abode during the tender years of my life.
 The quiet hill station of Shillong is located in the North Eastern part of India and is the capital of Meghalaya. The British had found here a home away from home and had named the city “Scotland of the East”.
Till 1972, Shillong had been the Head Quarter of undivided Assam. The state of Meghalaya was formed in the year 1972 and Shillong became its capital city. The kings of Tripura had also built their Summer Palaces here. Shillong was fortunate to have hosted noted personalities like Rabindranath Tagore, Swami Vivekananda, Netaji Subhash Chandra Bose and many more.

Jit-Bhumi
Shillong is well connected by NH40 with Guwahati, the nearest railway station. Shillong also has a small airport at Umroi, although it is better to opt for Guwahati airport when visiting the city.
The city of Shillong has a cosmopolitan flavour. Though the majority of population consists of indigenous tribes of Khasi, Jantia and Garo, the city has inhabitants from almost all communities of India who are no less Shillongnites. During the end of the British period and after independence, many government offices were set up in Shillong and people from across India had migrated here for a living and settled here ever since.
The society here is matrilineal. Women run the family and do all sorts of chores which are otherwise done by men elsewhere. Women are much more safe here than the rest of the country.
The winding roads
The essence of Shillong can be felt in its winding roads, valleys of pines, green hills, flowing streams and overall romance. Music lies in the air here. In every nook and corner, a local band can be found singing western music. Shillong is also fondly called as the rock capital of India. One more thing that is in the heart of every person apart from music is football. Every house here boasts of colourful flowers and sparkling window panes. The city is also the seat of premier educational institutions including national institutes.
The winters in Shillong are chilling and the temperature falls down to 2-3 degrees. In the last week of December, the whole city is decked up for Christmas and New Year celebrations. Christmas carols are sung in all places. Santa visits homes and distributes chocolates to the kids. Stars are hung in every verandah and Christmas tree in all sizes sits pretty in the corner of every living room. During winters, the small streams which run down the hillocks are frozen in the morning. In the early morning, the glass panes are covered with mist. The water pipes are frozen and are required to be heated to dissolve the ice. The tap water is icy cold and a huge pan of hot water is always kept on the kitchen heater for use in all the household chores. Of course, now the winters in Shillong are less cold thanks to the menace of deforestation that came with development.
After the winters, springs arrive when small green leaves come up on the barren trees. And winds come with the onset of springs and the weather is so dry during this time that every other person has a red dry cheek. Summers came when the winds subside in the end of March and this is the best time to visit Shillong. In the summers, the temperature remains around 25 degrees and the weather is very comfortable. Rains in Shillong arrive like unforeseen guests. Rains are unpredictable and sometimes last for days and months without stopping. Autumn is brief here and is most celebrated with autumn festivals held everywhere.
Umiam lake
Shillong is just 55 km from Mawsynram, the wettest place on earth. Mawlynnong, the cleanest village in Asia is located 90 km from Shillong. Other places of interest include the Shillong peak, Lady Hydari Park, Ward’s lake, Motphran, Shillong Golf Course etc. Many water falls also add to the beauty of the city viz., Elephant Falls, Beadon-Bishop Falls, Spread Eagle Falls, Sweet Falls, Crinoline Falls etc. Adventure lovers can also find their own interests in various sports.
Shillong occupies a very special place in my heart. I can never detach myself from those flat nosed and red cheeked kids, the old lady in the fish market, the guitarist who plays in the corner of the road, the small stream that used to run down the hill behind my window, the sound of rain on the tin roof, night view of the lit up hills, the drawings I used to make with fingers on the frosted window panes in winter mornings, the first pout of rose in garden, the sunset over Umiam lake, the long walks in the winding roads, the hills where I learned to live and love.
I wind up here and now. The city of Shillong and its surroundings still remain largely unexplored and is a must on your travel list. Come and feel the romance and beauty of the place.
As for me, once a Shillongnite, always a Shillongnite.
KHUBLEI.

Thursday, December 5, 2013

Konya

                             - পৌলমী মুন্সী

রোজ একটু করে জীবন পুড়ে যায়,
রাত নামে নিয়মিত নিয়মে,
আমি আবার মিলিয়ে দেখতে থাকি,
কিভাবে এত অন্ধকার মনে জমে?
অন্ধকার লেগে থাকে পায়ে পায়ে..
যৌবন অন্ধকার নিয়ে আসে..
সমাজ নাকি এগিয়ে গেছে অনেক..
ভগবান সেই শুনেও হাসে.
কন্যা তুই রাত্রে বেরলি কেন?
কন্যা তোর চোখে কেন আগুন জ্বলে?
“মেয়েদের আস্তে কাঁদতে হয়”
পুরুষেরা রোজ চিৎকার করে বলে..
কন্যা তোর শান্ত স্বভাব চাই.
চুল বড় করে রূপ বাড়াতে হবে.
সে রূপ কারও পছন্দ হয়ে গেলে.
খুব সাবধান ! এড়িয়ে যেতে হবে..
কন্যা তুই ভালবাসবি তাকে.
যাকে সমাজ বলবে ঠিক.
সে ভালবাসল কিনা সেটা ‘কপাল’.
মেনে নেওয়া টাই স্বাভাবিক.
রোজ রাত্রে মার-ই না হয় খেলি.
আগেও তো কত অভ্যাস ছিল.
কাঁদতে কাঁদতে রাত নামত সেদিন..
আজ কে না হয় ঘুমও কেড়ে নিল!

Tuesday, December 3, 2013

The Golden trip



Canada এসেছি গত শীতে...এখানে প্রায় ৮ মাস শীত...  আর মাস চারেক গরম...তবে এ গরমের সাথে কলকাতার গরমকে গুলিয়ে ফেলবেন না...তাপমাত্রা ২০-৩০ ডিগ্রীর মধ্যে থাকে...আর বরফের স্তর সরে গিয়ে Canada-র প্রকৃত সৌ্ন্দর্য্য প্রকাশ পায়...আমরা যে শহরে থাকি তার নাম Calgary আর শহরটা Rocky Mountain-র কোল ঘেষে...বেশ কয়েকটা জায়গা ঘোরার পর গরম থাকতে থাকতে শহরের কাছাকাছি দ্রষ্টব্য জায়গাগুলো ঘু্রে দেখার ইচ্ছা আরও বেড়ে গেছিলো...তাই এই মরশুমের শেষ long week-end এ আমরা ৯-১০ জন ঠিক করলাম “Golden”  'লে একটা জায়গা ঘুরে আসবো...এ শহর থেকে ঘন্টা ৫-৬ drive করে জায়গাটায় যেতে হয় ...Rocky Mountain এরই একটা অংশ...চটপট ২টি SUV গাড়ি book  'রে নেওয়া হোল... আর ঠিক করা হোল একটা বাংলোবাড়ি...জামাকাপড়খাবার-দাবার নিয়ে আমরা শনিবার সকাল সকাল রওনা দিলাম Golden এর উদ্দ্যেশ্যে মুখে হাসি আর মনে আনন্দ নিয়ে...


 Dolomite আর limestone দিয়ে তৈরী এই Rocky Mountain...সূর্যের আলোয় কি অপূর্বই না লাগে এই শৈলশিরাকে...রঙীন পাথরের মাঝে মাঝে গাঢ় সবুজ পাইন গাছের সারি...বসন্ত আসন্ন তাই অনেক সবুজ পাতাই বদলে গিয়ে লাল মেরুন হলুদ খইয়েরী হয়ে গেছে...পরিস্কার ঝকঝকে আকাশের গায়ে সাদা মেঘের নানান কারুকাজআকাশের দিকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রঙীন পাহাড়ের সারি আর এই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে পিছ-ঢালা ছিমছাম রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি ছুটল Golden র দিকে...পাহাড়ের পাদদেশে মাঝে মাঝে আবার ছোটো বড়ো Lake ...কি অপূর্ব সেই lake-র জলের রং...ঘন নীলসবুজে নীল...পরিষ্কার স্বচ্ছ কাঁচ-এর মত...এ দেশে pollution কম বলে জল বড় স্বচ্ছ...তাতে আকাশের ছায়া পরে মায়াবি এক রঙের সৃষ্টি হয় যা দেখে সকলেরই চোখ জুড়িয়ে যায়...

এরকমই একটা লেকের ধারে গাড়ি থামিয়ে আমাদের মধ্যান্হ-ভোজন সারলাম বাড়ি থেকে আনা খাবার দিয়ে...তারপর আরও ঘন্টা-খানেক ড্রাইভ করার পর পৌছালাম আমাদের গন্তব্যে...সন্ধ্যে নামার মুখে যখন আমাদের book করা কাঠের বাংলোয় আমরা পৌছালামদেখলাম Golden পাহাড় পড়ন্ত সূর্যের
 আলোয় উজ্জ্বল সোনালি বর্ণে বর্ণময়...আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এই ছোটো উপত্যকায় মূলত পাইন গাছের ঘন জঙ্গল...মাঝে মাঝে কিছু ফাঁকা জমিতে ছোটো বড়ো কাঠের তৈরী বাংলো... এরকমই একটা তিনতালা বাংলোয় আমরা ১০জন খুঁটি গাড়লাম ২দিনের নির্ভেজাল ছুটি কাটাবো ব'লে... সন্ধ্যে পেরিয়ে যখন অন্ধকার নেমে গেলো পুরোপুরিআমরা balcony-তে Barbecue করার তোড়জোড় শুরু করলাম...
তারপর নাচ-গানহইহুল্লুর ক'রে আর ঝলসানো মাংস খেয়ে আমাদের সেই রাত্রিটা ভালই কেটে গেলো...



 পরদিন সকালে ঘুমে থেকে উঠে আমরা জলখাবার খেয়ে আশপাশটা ঘুরে দেখতে বেরোলাম... পাইনের জঙ্গল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কাঠ-চেরাই-এর যন্ত্র, ঘোড়ার আস্তাবল, মেঠো রাস্তার পাশে নানাধরনের গাছ, বনফুল, প্রজাপতি, ফড়িং ইত্যাদি দেখতে পেলাম আর অনুভব করলাম পাহাড়ের নিজস্ব নিস্তব্ধতা...
 কিছুখন পর সবাই  ready হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম wolf center আর buffalo center  দেখতে...নেকড়ে আর মোষের আস্তানা দেখতাআমরা আমাদের আস্তানায় যখন পৌছালাম তখন ঘড়ির কাঁটা ৪টের দিকে ঢলে পড়েছে...

মাছের ঝোল-ভাত খেয়ে পেটপুজা করার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পরলাম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাটতে...সুর্যের পড়ন্ত আলোয় Golden পাহাড়ের range তখন আবার সোনালি হয়ে গেছে...আমরা পিচ-ঢালা রাস্তার দুপাশে ফেলে যেতে থাকলাম একের পর এক সবুজ গোচারণ ভূমিগুলোআর তাতে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়ানো গরু বা ঘোড়ার দলকে...বেশ কিছুটা হাঁটার পর পৌঁছে গেলাম Golden নদীর ধারে...সাকোর উপর থেকে দেখলাম খরস্রোতা  Golden নদীকে...উজ্জ্বল সবুজাভ নীল জলের Golden নদীর স্রোতের আওয়াজ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে পাহাড়ের সুগভীর নিস্তব্ধতাকে... পাহাড়ের সোনালী রঙনদীর সব্জে নীল রঙ আর ঘন পাইনের কালচে সবুজ রঙের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম...প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে আপনা থেকেই গেয়ে উঠলাম “ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা প্রভু তোমার পানে”...

   সান্ধ্য-ভ্রমণের রেশ নিয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন অন্ধকার জাঁকিয়ে বসেছে চারিদিকে... আর তারি মাঝে তোড়জোড় চলছে campfire-এর আমাদের বাংলোর পাশেই খোলা মাঠে ... হাল্কা ঠান্ডার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে আমরা তার চারিদিকে আরাম কেদারায় বসে হাসি-গানে-কথায় ভরিয়ে নিলাম সন্ধ্যাটাকে... আর মাঝে মাঝে মাথা তুললেই দেখতে পাচ্ছিলাম রাত্রের ঘন কালো আকাশের গায়ে কোটি কোটি ঝকঝকে তারাদের সাম্রাজ্যকে...শহর থেকে দূরে বলে তারারা যেন আরো পরিস্কার, আরো কাছে নেমে এসে বর্ধন করেছিলো আমাদের সভার আলকসজ্জা ...আন্তরিক ভাবে উপভোগ করা ওই মুহূর্তগুলো যেন তারা হয়েই মনের মাঝে গেঁথে যাচ্ছিলো...
 Campfire-এর পর dinner সেরে আমরা সেদিনের মতো শুয়ে পড়লাম...পরদিন খুব সকাল সকাল উঠে  প্রাতঃভ্রমণে বেরোলাম পাহাড়ি রাস্তা ধ'রে...দেখলাম পাহাড় আর মাটির মাঝে ঘন সাদা কুয়াশার স্তর চাদরের মতো ছড়িয়ে আছে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত অবধি...আর তার ঠিক পিছনে পাহাড় আর আকাশ সোনা রোদ মেখে স্বর্ণাভ হয়ে গেছে...মনে হচ্ছিল স্বর্গ যেন মাটিতে নেমে এসেছে...হাত বাড়ালেই পেয়ে যাব স্বর্গের নাগাল...কুয়াশা ঘেরা মায়াবী পরিবেশ থেকে কুয়াশা ভেজা মেঠো রাস্তা ধরে আমরা ফিরে এলাম আমাদের বাংলোর কাছে...আপেল গাছ ছিল বাংলোর পাশেই...সেখানে আপেল কুরিয়ে, আপেল গাছের সামনে ছবি তুলে আমাদের অভিজ্ঞতার যতোটা পারি Camera বন্দি করে আমরা ঢুকলাম আমাদের বাড়িতে, গোছগাছ ক'রে বেরোতে হবে ব'লে...সকাল সকাল স্নান-খাওয়া সেরে আমরা বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির পথে...বাংলোর মালিক ও তাঁর স্ত্রী পাশেই থাকেন, অত্যন্ত ভালো ও পরিশ্রমী দম্পতি, বলাবাহুল্য...যেভাবে এই দুটো বড়ো বাংলো আর তার পার্শবর্তী জমি-জায়গা নিজেরাই তত্ত্বাবধানে রেখেছেন তা বিস্মইয়কর, উল্লেখ না ক'রে থাকা যায় না...উনাদের বিদায় জানিয়ে আমরা ২দিনের ছুটি কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম...
পথে আবার সেই রঙীন পাহাড়ের সারি আর তুলতুলে সাদা মেঘে ভরা নীলাকাশ দেখতে দেখতে ছুটলাম আমরা... রাস্তায় দুটো বড়ো বড়ো লেক পড়ল...নাম Moraine Lake  আর Lake Louise... যেমন জলের রং তেমনি তার ব্যাপ্তি...পাহাড়ের গায়ে এরকম বড়ো বড়ো Lake এককথায় Canada-র ঐতিহ্য...ছুটি শেষ ভেবে যতটা মনখারাপ হয়েছিলো, Lake গুলো দেখে মনটা ততটাই ভ'রে গেলো...Lake  আর আকাশের     নীল রং চোখে নিয়ে আমরা ফিরে এলাম আমাদের শহর Calgary-তে...ঘড়িতে তখন রাত ৯টা...


Travelogue by Sreyasi Munshi


Thursday, November 28, 2013

হারানো বছর




Harano Bochhor 

Poem composed by Dr. Leena Sikidar, retired lecturer of Bengali at ArjyaVidyapit college, Guwahati

Thursday, November 7, 2013

Jhaalmuri Photo Gallery

Fellow blogger +Subhamoy Chakraborti recounts his memories on learning the art of clicking in his personal blogspace http://itssubhamoy.blogspot.in/2013/11/how-did-i-learn-photography.html

You can join his page https://www.facebook.com/itssubhamoy to have a glimpse of his photography

His latest fav is a Nexus 4 which has a 8 MP cam. What makes photography even more interesting is the Google Photos application. I was totally awestruck by the awesommmmmme features.
It provides a Auto backup feature which automatically uploads the pics to a google storage. Google automatically enhances the pictures. Take any pic google simply modifies it for you and makes is enchanting. I am just in love with  "auto - awesome"  which creates animation, HDR ,along with a few other interesting features.

In Jhaalmuri too we start our own photo gallery 



We have wonderful photos taken by Chandan and Ajay. 

Request you all to share your photographs in your own space "Jhaalmuri"

Photography by Chandan Chakraborty






Wednesday, November 6, 2013

RoshoMalai



Ingredients


Egg white- 2 tsp
Amul milk powder - 1 small pcket (10 INR)
Milk - 2 cups
Bay Leaf
Cardamom - 2 pods
Sugar - 2 heaped tablespoon
Almonds for garnishing

Serves - 1

Method

Beat 2 tsp of egg white and mix it with Amul milk powder to form a dough. You can add a pinch of baking powder while making the dough. Make small balls from the dough. 

Meanwhile heat milk in a vessel and allow it to thicken for sometime. Add bay leaves and cardamon for that wonderful aroma. Now add sugar to it. In the boiling milk drop the small milk powder balls one by one. The balls will start increasing in size and will soften. Cook for 5 more minutes. Roshomalai is ready. Pour in a bowl and garnish with almonds and dressings of your choice. Serve cold.

   
Recipe by Suparna Chakraborti

Thursday, October 31, 2013

Chicken Varta: from Urmi's Kitchen

Ingredients:

Boneless chicken-400 gms.
Onion chopped-3 nos.
Garlic-Ginger paste-2 tbsp.
Tomato chopped- 2 nos.
Chopped Green chili-3-4 nos.
Curd-1 cup
Cashewnut paste-2 tbsp.
Fresh cream-1/2 cup
Bay leaf-1-2 nos.
Green cardamoms- 3 nos.
Clove- 3-4 nos.
Kashmiri red chili powder-1 tsp.
Coriander powder-1/2 tsp.
Cumin powdere-1/2 tsp.
Fresh coriander chopped- for garnishing
Butter-2 tbsp.
White oil- 1 tbsp.

Method:

Take a kadai. Heat oil and butter. Fry the chicken lightly. Remove from heat and keep aside.
Now in the remaining oil put  cardamoms, clove and bay leaf .When it begins to crackle put onion & ginger-garlic paste. Cook for 1 minute.
Then put chopped tomato and green chili. Mix well & cook for a few more minutes.
When the oil comes apart put the chicken and salt in it and mix well.
Now put beaten curd, cashewnut paste and fresh cream. Mix &cook  for 2 minutes. Put cumin powder, Kashmiri red chili powder, coriander powder and  little bit sugar. Cook for 5 minutes. Then  put little amount of hot water and leave it to boil for 15 minutes with low flame.
When done turn off  the gas oven and give a standing time. 

Serve  hot  with bread or paratha garnishing fresh coriander leaf and fresh cream.

Monday, October 28, 2013

Phuchka

Phuchka is a famous mouth watering  road side Bengali snacks. It is also known as Pani-Puri or Golgappa outside Bengal. 
This popular dish is very easy to prepare at home. You can make large numbers of Phuchka ball/Puri  at a time and store in an airtight container to use later. 
  

Ingredients for the Phuchka ball/Puri  : 
  
1 cup suji/rava 
2-3 tbsp maida (all purpose flour) 
1/4 tsp baking soda 
salt 
oil for frying 
water to make the dough 
  
Process : 
1.Add all the dry ingredients for the puri in a large bowl. 
2.Mix together all the dry ingredients for the puri. Add little water at a time and form a stiff dough. Cover the dough with a wet cloth. 
3.After 20-30 mins, remove the wet cloth and knead the dough again. 
4.Dust the rolling board with some flour. Take a medium sized ball from the dough on the rolling board and roll out the dough thinly into a large circle. 
5. Take a small bowl and cut out the round discs from the rolled dough. 
6.Heat oil in a kadai. When the oil becomes hot, slip one puri in the oil. 
7.The puri will immediately puff and become golden brown. 
8.Remove and drain the puris on a kitchen tissue 
  
Ingredients for the Pani/Tentul Jol 
  
A small bunch of finely chopped coriander leaves 
2 green chilli finely chopped, 
Tamarind pulp 
1 teaspoon of rock salt/ kala namak 
1 teaspoon of roasted Zeera powder 
Water 
  
Process : 
  
Take a bowl. Add all the ingredients in it and pour sufficient water. 
Keep it for 1 hr so that all ingredients mix well with the water. 
  
Ingredients for the Potato stuffing 


2 large potatoes, boiled  
1/2 teaspoon chilli powder 
1 teaspoon rock salt / kala namak 
A small bunch of finely chopped coriander leaves  
2 green chilli finely chopped, 
1 teaspoon of roasted Zeera powder
  
Process: 
Mashed the boied potatoes. Add all the ingredients in it and mix it well. 


Recipe by Anindita Khan

Wednesday, October 23, 2013

Travelogue -Patal Bhubaneshwar


সময়টা ছিল নভেম্বর মাস , ট্রেন যখন কাঠগুদাম হয়ে লালকুও স্টেশন এ থামল , তখন সকাল । চারিদিকে স্নিগ্ধ রোদজ্বল , ঠান্ডা পাহাড়ি পরিবেশ । সেখান থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে সোজা পাড়ি দিলাম চৌখরি । লালকুও থেকে চৌখরি এর দুরত্ব অনেকটা , প্রায় ২১৬ কিলোমিটার  । আঁকাবাঁকা সবুজ পাহাড়ি পথ বেয়ে ষত ওপরে উঠবেন ততই মুগ্ধ হবেন , আর মাঝে মাঝেই চোখে পরবে পাহাড়ের কোলের সুন্দর সাজানো রিসর্ট ও ফুলের বাগান । চৌখরি থেকে পাতাল ভূবেনেস্বর মন্দিরের দূরত্ত মাত্র ৩৬ কিলোমিটার । মন্দির দর্শন  এর জন্য এখানে এক দুই রাত্রি হল্ট করাটা সবচেয়ে ভালো উপায় |চৌখরি উত্তরাখন্ডের পিথরাগার জেলের একটি ছোট্ট সাজানো গ্রাম ।

প্রকৃতি তার অপার সৌন্দয যেন এখানে উজাড় করে দিয়েছে । এখানে ভোরে ঘুম ভাঙে পাহাড়ী নানা নাম না জানা পাখীর মিষ্টি ডাকে আর আবির আলোর ছোআই । যতদূর চোখ যাবে তত দূরই বিস্তৃত ঘন সবুজ রঙের পাইন, ফার ,রডড়েনড্রন ও ওকের জঙ্গল, আর তার পরেই চির তুষারাবৃত হিমালায় বিরাজমান।
হিমালয়ের পান্চাচুল্লি অর্থা হিমালয়ের বিখাত্ সর্ব্বোচ পাঁচটি চূড়া এখান থেকে এতই কাছে এবং স্পষ্ট যে , যেন মনে হয় হাথছানি দিয়ে ডাকছে ।

আপনার বিভোর হযে চেয়ে থাকার কোন এক ফাঁকেই সূর্যিমামা বারফের রুপোলি চাদর ভেদ করে সারা আকাশকে মিষ্টি রোদের ছোযয ভরিয়ে তুলবে । আর সেই সূর্যের আলোই মনে হবে কে যেন রুপোলি মুকুটে সোনার জল চড়িয়ে দিয়েছে ।

চারিদিকে ঝিকিমিকি করে উঠবে উজ্জ্বল আলোর ছটাই । নীল্ আকাশে হালকা মেঘের ছোয়া , আর নীলের বুকে উজ্জ্বল হলুদ রেখা আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে । দুষণমুক্ত রাতের আকাশে অজস্র অজস্র তারারা গায়ে লেগে ভিড় করে এসে ধরা দেবে আপনার চোখে । এখানে আর একটি বিশেষ দর্শনীয় স্হান হল ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত চা বাগান । প্রকৃতিকে মনপ্রাণ দিয়ে অনুভব করার স্বর্গরাজ্য বোধহই এইটাই । পরেরদিন সকালে স্নান - ব্রেকফাস্ট সেরে রওনা দিলাম "পাতাল ভুবনেশ্বর", মন্দিরের উদ্যেশে । পথের দুধারে ঘন জঙ্গল আর হিমালয়ের অপরূপ সৃষ্টি আপনাকে অনায়াসেই স্বাগত জানায় । পরেরদিন সকালে স্নান - ব্রেকফাস্ট সেরে রওনা দিলাম "পাতাল ভুবনেশ্বর", মন্দিরের উদ্যেশে । পথের দুধারে ঘন জঙ্গল আর হিমালয়ের অপরূপ সৃষ্টি আপনাকে অনায়াসেই স্বাগত জানায় । মাঝে মাঝে পাহাড়ের গায়ে ধাপচাষ যেন নিবুন নকশা বুনে দিয়েছে । তুষারশুভ্র ও স্নিগ্ধ সবুজের বুক চিরেই পৌছে গেলাম মন্দিরে । এই মন্দির আসলে একটি চুনাপাথরের গুহা মন্দির , যদিও বাইরে থেকে একটি সম্পূর্ণ পাথরের বলে মনে হবে।প্রধান গুহাপথের ১/২ কিলোমিটার দূর থেকেই গাড়ির পথ শেষ হয়ে গিয়েছে । বাকিটা পায়ে হেটেই প্রবেশ করতে হয় । এই গুহা ১৬০ মিটার লম্বা এবং ৯০ ফিট গভীর। কথিত আছে ত্রেতা যুগে সুর্য বংশের রাজা ঋতুপর্ণ প্রথম এই গুহায় প্রবেশ করেন ।গন্তব্যস্থলে পৌছে গুহায় প্রবেশের জন্য জুতো - মোজা খুলতেই হাত-পা অবশ হয়ে যেতে থাকল ঠান্ডাতে ,সঙ্গে অবিচলিত তীখ্ন ঠান্ডা হওয়  যেন কাপুনি ধরিয়ে দিল সারা শরীরে ।

দাঁড়িয়ে আছি ,ভাবছি ঢুকবো । একজন গাইড এসে বলল এখান দিয়ে প্রবেশ করতে হবে গুহায় , এক সেকেন্ডের জন্ন্য সবাই এর-ওর মুখের দিকে চাইছে ,কিছুই বুঝতে পারছি না কোনখান দিয়ে ঢুকব। হতাত ই দেখি সামনে একটা সংকীর্ণ অর্ধগোলাকার গর্তের মতো ,ভিতর থেকে ক্ষীন লাইটের আভা দেখা যাচ্হে ।অতি নাকি পাতাল ভুবনেশ্বর দেবলোকে প্রবেশের একমাত্র পথ। সবে বলতে যাচ্ছি -"আমি যেতে পারব না এত ছোট বাচ্চা নিয়ে ",আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে গাইড ও তার পাশের একজন ভদ্রলোক যা বললেন তাতে আমার মনকে টলিয়ে দিল।বললেন -"এত কাছে এসে ভাববেন না যে ঢুকবো না, এই দেবলোক চারধাম মহাতীর্থ ভ্রমনের -পুন্যের সমান,বাচ্চাকে নিয়েই যান । দেখবেন আপনার মেয়ে খুব সুখী হবে "। আমার মেয়ে তখন ১ বছর ৭ মাসের ,মায়ের মন তো ,আর কোনো বাধাই বাধা মনে হলো না ।

এখানে প্রবেশের পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ ,আর খুব ক্ষীন আলো সারা গুহাতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বিরাজমান ,চেন ধরে আস্তে আস্তে খুব সাবধানে গুহায় নীচে প্রবেশ করতে হয়,মানে হয় এই গুহায় সাতটি তল আছে ।আজ পর্যন্ত কোন মানুষ প্রথমতলের নীচে যেতে পারেননি । প্রধান গুহাপখ থেকে আরও অনেক গুহা আছে ।বলা হয় এই গুহার একটি পথ শেষ হয়েছে কেদারনাথের আদি শন্কারাচার্যের মন্দিরের কাছে ।এখানে পর্যটকদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ ।

এখানে আসার সাথে সাথে মন এক আশ্চর্য্য পবিত্র অনুবুতিতে ভরে উঠবে।রহস্য ও রোমাঞ্চে ভার ৩৩ কোটি দেব - দেবতার কি অপূর্ব  এই দেবলোক।মনে হবে মহাবিশের এক অনন্ত গর্তে আপনি চলে এসেছেন ।এই গুহার মধ্যে চারটি প্রবেশদ্বার আছে,যথা - "পাপদ্বার", "রনদ্বার", "ধর্মদ্বার" এবং, "মুক্তদ্বার", -পাপদ্বার রাবনের মৃত্যুর পর এবং রনদ্বার মহাভারতের মহাযুদ্ধের পার বন্ধ হয়ে যায় ।বর্তমানে ধর্মদ্বার ও মুক্তদ্বার দুটি প্রবেশের জন্য খোলা আছে । দাপরর্যুগে পান্ডবরা এই গুহায় অশ্রয় নেয় এবং নতুন করে আবার এই গুহা অবিষকার করে ।তাদেরও অনেক নিদর্শন এই গুহায় দেখতে পাওয়া যায় ।চুনাপাথরের এই গুহায় স্তেলাগটাইট ও  স্তেলাগমাইটের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব পৌরানিক কাহিনী সংক্রান্ত নানা চরিত্র - কাল ভৈরবের জিব্হা ,ভোলা মহেশ্বরের কেশ ,ইন্দ্রের ঐরাবত এবং আরো অনেক আশ্চর্য পবিত্র সব পুরান সংক্রান্ত চরিত্র,আছে  স্তেলাগমাইটের দ্বারা  সৃস্ট শিবলীন্গ,যা আজ বেড়ে চলেছে উচাতায় । পুরানে কথিত আছে গনেশের মুন্দচেদদের পার যতক্ষণ না অন্য কারোর মুন্ড পাওয়া যায় ততক্ষণ সেই মুন্দহীন দেহকে সজীব রাখতে ভোলা মহেশ্বর ফোঁটা ফোঁটা চরনামেত্র ঢেলে ছিলেন ।একইসঙ্গে স্তেলাগটাইটও স্তেলাগমাইটের দ্বারা সৃষ্টি পৌরানিক কাহিনীর নিপুন নিদর্শন আপনাকে বিভোর করে দেবে ,গাইড প্রতিটি চরিত্রের ব্যাখা খুব সুন্দরভাবে করে দেবে ।

পবিত্র সব পুরান সংক্রান্ত চরিত্র,আছে  স্তেলাগমাইটের দ্বারা  সৃষ্ট শিবলীন্গ,যা আজ বেড়ে চলেছে উচাতায় । পুরানে কথিত আছে গনেশের মুন্দচেদদের পর যতক্ষণ না অন্য কারোর মুন্ড পাওয়া যায় ততক্ষণ সেই মুন্দহীন দেহকে সজীব রাখতে ভোলা মহেশ্বর ফোঁটা ফোঁটা চরনামেত্র ঢেলে ছিলেন ।
একইসঙ্গে স্তেলাগটাইটও স্তেলাগমাইটের দ্বারা সৃষ্টি পৌরানিক কাহিনীর নিপুন নিদর্শন আপনাকে বিভোর করে দেবে ,গাইড প্রতিটি চরিত্রের ব্যাখা খুব সুন্দরভাবে করে দেবে ।

পাতাল দেবলোক ঘুরে পুজো দিয়ে যখন ফিরছি বারবারই চোখে ভেসে উঠছিল অপূব সেইসব সুক্ষ সৃষ্টিকলাপ আর একটাই প্রশ্ন মনে জাগছিল এও কি সম্ভব?


 By Urmita Ghosh


Tuesday, October 22, 2013

গোগোদার প্রতিশোধ

নাম গোগোদা। পেশায় পাড়া তথা এলাকার ডন।ভোট এলে কলার তুলে মাস্তানি।আর সারা বছর রক্তদান শিবিরের মুখোশের তলায় রক্তচোষা তোলাবাজি।কলকাতার তথাকথিত পেষক দলের মত ইনিও শোষক দলের সাথেই রঙ পাল্টান।কলকাতার বুকে আতসবাজি বিষম খেলেও তোলাবাজি তুলোর মত পেশম গতিতে বিদ্যমান।গোগোদার আসল নাম গোবিন্দ গোসাই দাস।বাবা ছিলেন বৈষ্ণব।গোগোদা নামটা কোত্তেকে এসেছিল তা কেউ জানেনা।

     পুজোর বাজার মন্দা।চিটফান্ডের কোম্পানীগুলো স্পন্সরশিপের দরজায় ছি্টকিনি তুলে দেবার পর সব পুজোতেই কস্ট কাটিঙ্গের বাহার।তার মধ্যেও কিছু পুজো থাকে নামি লোকের দামি অহঙ্কারের মত।সেই পুজোগুলোর জৌলুস চেনায় সেই পুজো কর্তাদের কলারের রং।গোগোদার পুজো মানে ভাই ভাই সঙ্ঘের পুজোও তার মধ্যে একটা।স্থানীয় কিছু জামাকাপড়ের দোকান আর বিখ্যাত এক হোসিয়ারী কম্পানির থেকে কিছু টাকা ঢুকেছে।গোগোদার ব্যাপ্তির কাছে তা সামান্য।সারাবছর দোনলা মেশিনটার দাদাগিরিতে লক্ষ্মী এলেও এই পুজোর ব্যাপারে গোগোদার সেন্টিমেন্টটা এক্তু বেশিই।বাড়ি বাড়ি চা৺দা তুলতে বেরোয় সে নিজেই।

                আজও তেমনি একটা রবিবার।আর সাতদিন বাকি আছে পুজোর।গত একমাস ধরে কাটা রসিদগুলো থেকে কালেকশন করতে হবে।গোগোদা তার দক্ষিনহস্ত ক্যাকা মানে ক্যালানে কার্ত্তিক কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে।রিসেশনের যে বাজারে দেবী ভক্তির ব্যাপারেও কন্সটিপেশণ টেনে আনবে তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে।সকাল থেকে যে বাড়ীই যাওয়া হচ্ছেনা কেন ১০-২০ টাকা কম নিয়েই বেরতে হচ্ছে।তিন রাস্তার মোড়েই বাড়ি বটদার।নাম বটব্যাল মুখার্জী।পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।ভুরির সাথে টাকাও সমানুপাতে বেড়ে চলেছে।এ পাড়ায় বেশ নামি লোক।দেশে বিদেশে প্রায়স্য নাকি লেকচার দিয়ে বেরতে হয় তাকে।সস্ত্রীক মেয়েকে নিয়ে থাকেন পেল্লায় জাহাজের মত বাড়িটাতে।

                বাড়ির দরজায় এসেই গোগোদা হাক পাড়ে।ভিতর থেকে বটদার বেশ রাসভারী গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।মালটা ফোনে ঠুকছে কাকে কে জানে! নিজের মনেই স্বগোতোক্তি করে গোগোদা।দশ মিনিট দাঁড়িয়ে গোগোদার মাথার পারদ চড়চড় করে উঠতে শুরু করে দিয়েছে।অবশেষে বেরোলেন বটব্যল।
- ও গোবিন্দ । সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছ মায়ের নামে ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে । শ্লেষ মাখানো সুরে বলেন বটদা। গোগোদার মেজাজটাকে আরও খিচুড়ি বানানোর জন্য এই যথেষ্ট ছিল তবু সামলে নিল গোগোদা।
-পুজোর চাদা দাদা ।তুলতে তো হবেই।
-হুমম। তা কত?
-১০০১ টাকা।
-খেপেছ নাকি।আমার টাকা তোমার মত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জামার কলারে রুমাল ঘসে আসেনা বুঝলে।সকাল সকাল তোলাবাজি।
-ক্যাকা যথাসময়ে ছড়িয়ে দিল “তো রুমাল হাতে নিয়ে দারিয়ে আসে নাকি বস?”
-মাইন্ড ইয়উর ল্যাঙ্গুয়েজ।আমার টাকায় মদ এর মোচ্ছব করতে দেবনা এই ভদ্র পাড়ায়।
গোগোদা নিজের মনে নিজেকে সামলাতে থাকে।ততক্ষনে নাটক দেখতে অনেক লোক্ ই জড়ো হয়ে গেছে। গোগোদা পকেটে হাত দিয়ে মেশিন টাকে নারাচাড়া করতে থাকে “ ব্রিজ বাড়ি সবই ত গঙ্গা পারের বালি দিয়ে চালিয়ে দিলেন দাদা।তো এই পূজোর চাদাটাতে নাই বা বালি মেশালেন”

এতটা কড়া সত্য বটব্যল বোধ হয় আন্দাজ করতে পারেন নি।সবাইকে অবাক করে সে হঠাৎই গোগোদার গালে আঘাত টা করে দেয়।সব উৎসাহী গল্প লেখকের চোখ অপেক্ষা করতে থাকে আইসবারগের টাইটানিক গ্রাসের মুহুর্তের।গোগোদাও ব্যাপারটার আকস্মিকতায় কিছুটা বিভ্রান্ত।ক্যাকা গোগোদাকে টেনে বের করে নেওয়ার চেষ্টায়।গোগোদা শুধু বলে যায় ভালো হলনা দাদা,ভালোনা একদম ভালো হলনা।

      গতকালের ব্যাপারটা গোগোদাকে মুষড়ে দিয়েছে অনেকটা।অনেক লোকজন নাকি হাসি ঠাট্টাও করেছে তারনামে। এই অপমান সে মেনে নেবেনা।বটদাকে শেষ করে দিতে হবে।সারাদিন ধরে সে ভাবতে থাকে তার প্ল্যান।এমনভাবে সে নেবে এই প্রতিশোধ যাতে বটব্যল কোনদিন তার সামনে আর দাড়াতে না পারে।শুধু চাই একটা মাস্টার প্ল্যান।চাইলেই সে তেতুলতলার পেছনের মাঠে গুম করে দিতে পারে।কিন্তু তা সে করবেনা।সে সবার আড়ালে নিজের অপমানকে মিটিয়ে দেবেনা।বটব্যালকে সে শেষ করবে তার নিজের তাবেদারদের সামনে।কিন্তু কিভাবে?একটা সিগারেট নিয়ে ছাদে পায়চারি করতে করতে তার চোখ পড়ে লাইটপোস্টে বাধা কাট আউট টার দিকে।আগামী ষষ্ঠীতে বিশড়পাড়া নাগরিক সমিতির উদ্বোধন।প্রধান অতিথি বটব্যাল মুখার্জী।এক মনে তাকিয়ে থাকে গোগোদা।তারপর মুচকি হেসে নেমে আসে সে।বটব্যাল কে শেষ করতে হবে সেদিন ই।সবার সামনে।
নিজের ঘরে এসে সে খুজে বের করে তার কাছে থাকা এই মিশনের সব অস্ত্র, যা দিয়ে সে মিটিয়ে দেবে বটব্যালকে।তবু শান্তি পায়না সে।ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।সারাদিন গোগোদাকে অনেক অচেনা অজানা লোকের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে। মনপসন্দ মেশিনটা একটা প্লাস্টিকে পুরে সে বেরিয়ে এল খুপরি দোকানটা থেকে।
ইতিমধ্যে লোকজনের সাথে কথা বলে সে জেনে নিয়েছে বটব্যালের সূচী।নাগরিক মঞ্চের উদ্বোধনের সময়ই সেরে ফেলতে হবে কাজটা।সবার সামনে নিশঃব্দে চলে যেতে হবে বটব্যাল কে।

আজ ই সেই দিন।গত ৫দিন ধরে গোগোদা নিজের মনেই কষে চলেছে অকাল বধের ছক।কোনমতেই নিষ্কৃতি নেই বটব্যালের।সবার অলক্ষ্যেই সে পৌছে গেছে সভাঘরে।বটব্যাল এক সুতোয় টান দিয়ে সুচনা করবেন অনুষ্ঠানের।গোগোদা প্লাস্টিক থেকে জিনিষটাকে বের করে সেট করে দিল পর্দা র সাথে।কোন ভুল নয়।ধীরে ধীরে ভিড় জমতে শুরু করেছে।গোগোদা একটা ব্যবস্থায় খুশি হতে পারেনা।তার চাই আরও নির্মম পরিনাম।মিউজিক সিস্টেমে সে বসিয়ে দিয়ে আসে সে তার ২য় অনু বোমাটাকে।সবাই কে সে শোনাবে বটব্যালের প্রতি শনিদেবতার অট্টহাস্য।

বটব্যল এসে গেছে।গেটের দরজায় মালা চন্দন দিয়ে তাকে স্বাগত জানাল এক সুন্দরী তরুনী।আর প্রতীক্ষা করার মত অবস্থায় নেই গোগোদা।কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসছে বটব্যল সভাঘরের দিকে।এসে গেছে সেই সন্ধিক্ষণ।মিউজিক বক্সের পেছন থেকে সে দেখতে চায় সেই পরিণাম।বটব্যল এগিয়ে আসে সুতো টেনে পর্দা উন্মোচনের জন্য।হাত রাখে সুতোর গাছায়।গোগোদা নিজের মনে একবার সরি বলে চোখ রাখে মিউজিক সিস্টেম অপারেটরের দিকে।দুটো কাজ ই একসাথে করতে হবে।বটব্যল টান দেয় সুতোয়।কাপরের পর্দা খুলে তার গায়ে মুখে ছড়িয়ে পরে প্যাকেট ভর্তি বিশঠা।আর এম পি থ্রি প্লেয়ার টাতে বেজে ওঠে “আজা ঠুমকা লাগালে বন বেশরম ! দিল খোলে সিনা তানে বন বেশরম।“
গোগোদা একটা সিগারেট ধরিয়ে হাটতে থাকে ।মুচকি হেসে।



Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...