Showing posts with label poetry. Show all posts
Showing posts with label poetry. Show all posts

Tuesday, August 18, 2015

Small old toys



Small old toys
Few torn pieces
Reminds the baby smell of your hair

First few steps
Of a tentative toddler
Giant steps in the proud parents' lair

Happiness galore
Listening to your first utterances
Everlasting memories that stay

When the nest is empty
And when the memory rules supreme
Makes the dull days bright and gay

We know the rules
Don't you worry ?
About the modern living and all that stuff

We are modern
In our ancient ways
We know the "Letting Go" without a huff

I worry for you 
My darling child
Will you be as bold then ?

I pray for you
That you get strength
To bear the possible pain

As the rules day
As old as are they
Whatever goes up comes down

When you reach our age
And when your nest becomes empty
Will you be able to bear it without a frown ?

I got a thought
For all the parents
Here it is, two pennies worth in all

Stay close to the child
And the toys
Bright memories of these days will keep you tall.

Composed by +Sugata Sanyal for Jhaalmuri Barsha


Sunday, August 16, 2015

বৃষ্টি- গাঁথা

বৃষ্টি ধারায় কান্না হারায়   
ধরা পড়ে না ব্যথা ;     
স্মৃতির  ভেলায়    মনে পড়ে যায় ,
ভুলে যাওয়া কত কথা । 
কাগজের নৌকো  ভেসে চলে যায়,
সাথে নিয়ে ছেলেবেলা… 
ছাদের কোণাতে   জমে থাকা জলে,
কালো মেঘের ছায়া।
বৃষ্টি মাখা  কিশোর  সাঁঝে ,
হাত ধরে টিউশন ফেরা…
চাপা হরষে , থরথর  কাঁপে , 
অস্ফুট  ভালোলাগা ।
মেঘ গর্জন  শোনা যায় যত ,
চমকে ওঠে সে ঘুমে,
আঁকড়ে ধরে ছোট ছোট হাত, 
‘মা’ বলে  কেঁদে উঠে ।
বৃষ্টি আমার   রক্ত ধারায় ,
বৃষ্টি মনের কোণে …
হাসি কান্নার গল্প গাঁথায় ,
উঁকি দেয় প্রতি ক্ষণে ।

Composed by +Anindita Aditya for Jhaalmuri Barsha



Jhaalmuri 

Saturday, August 15, 2015

ঘরে ফিরি চলো


বেলা শেষে ঘরে ফিরি চলো
অনেক তো হলো খেলা মেঘেদের দেশে।
আকাশের নীলে লেগেছে সিঁদুরের ছোঁয়া
গোলাপি, লাল, হলুদ, আবিরের রঙ
কে যেন দিয়েছে ছড়িয়ে আকাশের গায়ে।
শুভ্র বালুকারাশির চাদর বিছানো সমুদ্রতটে,
দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলের দৃশ্যপটে,
আঁধার নামতে আর বেশি বাকি নেই।
জলের রঙ নীল নাকি আকাশের রঙ নীল?
প্রশ্ন কঠিন বড়, তার চেয়েও উত্তরটা কঠিন।
দিনের শেষে নিড়ে ফিরে যায় পাখীরা,
আমরাও ঘরে ফিরি চলো।
আঁকা বাঁকা সাদা কালো রাস্তায়
টিম টিম জ্বলে বাতি, এই আছে, এই নেই
পৃথিবীর সব শব্দ নিঃস্তব্ধ হয়েছে আজ
আঁধারের কালো রঙে মনের রঙ ভরে দিই।
মাঝে মাঝে জনবসতির পাওয়া যায় সাড়া
আলো কিছু বেশি হয়, আবার মিলিয়ে যায়
পথের ধারে ঘাসফুল একলাটি রয়ে যায়।
তুমি আমি দুজনার পথ চলা শুরু হয়
পথ ভুলে চলে যাই, ঠিকানা হারিয়ে যায়।
কখনো বৃষ্টি নামে, কখনো বা ঝড় ওঠে
পাগল হাওয়া কখনো নাম ধরে ডেকে যায়।
মেঘে মেঘে আলোর রেখায় পথ দেখা যায় -
এবার তো ফিরি চলো, বেলা শেষে ঘরে ফিরি চলো।


Composed by +Debarati Bhattacharjee for Jhaalmuri Barsha






Jhaalmuri 

Thursday, August 6, 2015

নীহারিকা

নীহারিকা আমার পাশের বাড়ির মেয়ে, অনেকটা “মেরি সামনে ওয়ালি খিড়কী’র মতো।
আমার জীবনে তখন শুধুই নীহারিকা-
                   যেমন সকালে চায়ের উষ্ণ স্পর্শে,
                           ঠিক তেমনি রাতের জ্যোৎস্না-র মাধুর্যে।
আমি তখন স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পা রাখা এক প্রাণচঞ্চল যুবক,
                   আর নীহারিকা? সে তখন সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো এক ষোড়শী।।

আমার ঘরের জানালা দিয়ে নীহারিকা’র সদর দরজাটা দেখা যেত।
আমাদের দালানের ঘড়িটা যখন ঢং ঢং করে দশবার বিকট আওয়াজ করে থামত,
নীহারিকা সেই সিংহদুয়ার খুলে রাস্তায় পা রাখতো, স্কুলের পথে।
ঘাড় ঘুরিয়ে ও কি দেখত একবার, আমার জানালার দিকে?
                   'নাহহহ…ওটা আমার মনের ভুল বৈ আর কিছু না।।
এইভাবেই দিন কাটছিল, বলব বলব করেও মনের কথা বলা হচ্ছিল না নীহারিকাকে।

একদিন কলেজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়, পাড়াটা একটু থমথমে লাগলো।
                  সন্ধ্যে হয়ে গেছে, অথচ… নীহারিকা’র বাড়ি কেন অন্ধকার?
কৌতূহল বশত জিজ্ঞাসা করায় জানতে পারলাম,
                 পাশের বস্তির একটা ছেলে, নিজের বিকৃত কামার্ত লালসা মেটাতে না পেরে
                 অ্যাসিড ছুড়ে দিয়ে গেছে নীহারিকা’র মুখে।।

কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল নীহারিকা,
                যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে।
পাড়ার গুরুজনরা বলছেন, দোষ নাকি নীহারিকার’ই,
               নাহলে পাড়ায় এত মেয়ে থাকতে নীহারিকা কেন?
আমি তীব্র প্রতিবাদ করতে চাইলাম, চিৎকার করে বলতে চাইলাম,
                         নাআআ, নীহারিকা খারাপ নয়।
কিন্তু আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হোল না,
              স্রোতের বিপরিতে গিয়ে নীহারিকা’কে কলঙ্ক মুক্ত করতে পারলাম না।।

সেই দুর্ঘটনার পর অনেক সাহস সঞ্চয় করে, সমাজের কটাক্ষ উপেক্ষা করে,
নার্সিংহোমে গিয়ে যখন নীহারিকা’র পাশে দাঁড়ালাম,
নীহারিকা ওর কুঁকড়ে দুমড়ে যাওয়া মুখটা নিয়ে, আরও কুঁকড়ে গেল।
আমার হাত ধরে, ওর চোখের জল আর বাঁধ মানল না।
              বললাম –“ভয় কি? আমি আছি তো…”,
                       বুঝলাম, আমার মনের ভুলটা ভুল ছিল না।

এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গেছে, নীহারিকা’র বাড়ীতে আর কেউ থাকে না।
নিজেদের সন্মান বাঁচাতে ওরা এই পাড়া ছেড়ে চলে যায়।
কিন্তু সন্মান হানি হল কার???
নীহারিকা’র পরিবারের নাকি নারীকে তার মর্যাদা দিতে না পারা এক অকর্মণ্য সমাজের?
             যে নিজের দায় এড়াতে দোষের ভাগী করল সেই নারীকেই???

আমার দালানের ঘড়িটা ঢং ঢং আওয়াজ করে মধ্যরাত্রি ঘোষণা করলো।
সানাইের সুর থেমে গেছে,
আমার ঘরের জানালা দিয়ে, নীহারিকা’র পুরনো বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছি দুজনে,
            আমি আর নীহারিকা।


Composed by Moumita Ghosh Ball for Jhaalmuri Barsha




Jhaalmuri 


Monday, August 3, 2015

এখানে এখন বৃষ্টি নেমেছিল

এখানে এখন বৃষ্টি নেমেছিল।
বৃষ্টি না হওয়ার বড় দীর্ঘ সময়ে,
চাতকেরা গুটিয়ে নিয়েছে পাখা,
গাছের পাতায় বৃদ্ধের হাতের মত ভাঁজপড়া দাগ,
শহরের দীর্ঘশ্বাস মেঘ হয়ে শহরকে ঘিরে ধরেছে।
এখন সে মেঘ মাটির কাছাকাছি,
চোখের পাতায় গলে পড়া তার আদরে,
আমি একা হাঁটি ভেজা পথ ধরে।
চিঠি লিখছি নিরুদ্দেশে,
এখানে এখন বৃষ্টি নেমেছিল।
তোমার কাছে শব্দগুলো যাবেনা,
যেতে যেতে শুকিয়ে যাবে ভেজা শব্দেরা।
অনেক দূরে, বহু বৃষ্টির ওপারে,
পা ফেলে চলে গেছ এক পৃথিবী নির্জনতা দিয়ে।
আমার হৃদয় অসময়ে তবু বলে,
এখানে এখনও বৃষ্টি নেমেছিল।
তোমার কাছে নুইয়ে মাথা,
আকাশ আসে বারান্দায় ধরা দিতে,
তোমার কফিকাপে রোদ্দুর ধোঁয়া হয়ে ওঠে।
তবু আজ যখন ভিজে গেছে মাটি,
চাতক আবার মেলতে পেরেছে পাখা,
একটা প্রশ্ন ঝরে পড়ে হাওয়া পেলে,
ওখানে এখন বৃষ্টি নেমেছিল?


Composed by +Sayan Chakraborty  for Jhaalmuri Barsha



Jhaalmuri 


Sunday, August 2, 2015

বৃষ্টি বৃষ্টি

চুপিচুপি এসে ওরা ঝিরঝির করে -
জানলার কাঁচে টোকা দেয় ধীরে ধীরে ।
ঘুম ঘুম ভাঙা চোখে আমি চেয়ে থাকি;
মুচকি হেসে ওদের দুষ্টুমি খেলা দেখি।
যেই না আস্কারা পায়-
ছুটে আসে উন্মত্ততায়,
ছুটে আসে ঝম্‌ঝম্‌ করে।
বৃষ্টির ফোঁটারা বড় অবাধ্য;
বৃষ্টির ফোঁটারা বড় অশান্ত।
গাছের সবুজ পাতা নিয়ে খেলা করে,
খালের জলের মাঝে ডুব দিয়ে মরে।
এলোমেলো ছন্দে থই থই নাচে তারা-
কিসের আনন্দে প্রলয়ে মেতেছে ওরা?
মানিপ্ল্যান্টের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে,
ঘাস ফুল প্রশ্রয় দেয় দুলে দুলে।
আকাশের বুক চিরে ধেয়ে আসে বারিসেনা;
ঝোড়ো বাতাসের সাথে বাড়ে যে উন্মাদনা।
অসহায় পথিকের ছাতা গেল উড়ে;
বিদ্যুৎ ঝলকায় আকাশটা জুড়ে।
আমি শুধু চেয়ে দেখি বৃষ্টির খেলা-
জানলার ধারে বসে কেটে যায় বেলা।  


Composed by +deboshree bhattacharjee for Jhaalmuri Barsha
Read the entire e-magazine here http://www.jhaalmuricorner.com/jhaalmuribarsha.html





Jhaalmuri 



Thursday, July 30, 2015

ভিজে-স্মৃতি

কফিকাপে ধোঁয়া, ভিজে রেলিং-র ধার-
রাস্তার ধারে ভিজে যাওয়া গাছের পাতার তাথৈ-তাথৈ নাচ –
থৈ থৈ জল ফুটপাথ-
ভিজে বেঞ্চের উপর ঝোড়ো কাক আর
সিক্ত কাঁচের ভিতর দিয়ে উদাস চাওয়ায়
পিছন দিকে মনের ছুটে চলা-
মনে ভেসে আসা গল্প কত,
কিছু জানা আর কিছু কোনোদিনও না বলা!!

কৈশোরের সেই একলা ঘর আর আমার একার সময়-
আজ ভেসে আসে টুকরো স্মৃতি বর্ষার আর্দ্র হাওয়ায়
জানলার পাশে একা দাঁড়িয়ে থাকা সেই পাকুড় গাছ
সাক্ষী থেকেছে কত একান্ত মুহূর্তের-
দেখেছে কত গোপন হাসি-কান্না,
আর আমি সেদিক পানে চেয়ে চেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি
অলসতায় সম্পৃক্ত কত অগণিত সময়ের কণা!!

হাজার হাজার পাতায় পাতায় চ’লে গেছে
কত গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত
দিনের আলোয় পাখীদের নাচ আর রাতে
জ্যোৎস্না ধোয়া হাওয়া ঝিরঝির-
কখনও বাইরে থেকেছে দাঁড়িয়ে,
কখনও প্রবেশ করেছে ঘরে-
কখনও একলা করেছে আরো,
কখনও মন দিয়েছে ভ’রে।
বর্ষা তখনও ভিজিয়ে দিত মন
জয়জয়ন্তী কিংবা মেঘমল্লার সুরে-
কখনও সিক্ত হতাম একা বিছানায়
কখনও চৌরাশিয়ার বাঁশির ধূনে
নেচে উঠতাম আমার আঁধার ঘরে!!
আলগোছে কত কবিতা লিখেছি,
ভেবেছি কত আকাশ-কুসুম গল্প-
কত জলছবি এঁকে ভরিয়েছি ক্যানভাস,
দিনে-রাতে দেখেছি রংবেরঙের স্বপ্ন।

আজ হারিয়ে গেছে সেসব সুর-কবিতারা,
ঝাপসা হয়েছে ছবি
কিছু স্বপ্ন হয়েছে পুরণ,
কিছু হারিয়ে ফেলেছে দাবি।
থেকে গেছে শুধু অনুভূতি-ভরা
না-ছুঁতে-পারা স্মৃতি-
বর্ষার জলভেজা বিকেলবেলায়-
কফিকাপ থেকে উঠে আসা ধোঁয়ায়-
মনের কোণে আজ শুধুই তারা উঁকি মারে ইতি-উতি!!

Composed by +Sreyasi Munshi for Jhaalmuri Barsha

Read the entire e-magazine here http://www.jhaalmuricorner.com/jhaalmuribarsha.html



Jhaalmuri 



Thursday, June 11, 2015

দেখা যাক

যেন কবিতা একটা... দেখা যাক...
২ বলে চাই ৭ রান... দেখা যাক...
ট্র্যাফিক লাইট এর আর ২ সেকেন্ড... সামনে গাড়ি চার... দেখা যাক...
সিনেমা শুরু হবে এখনি... ব্ল্যাকে টিকিট আছে কি? দেখা যাক...
কাল anniversary ...বউ এর আশা ছুটি নি ... দেখা যাক...
বাস এর ফুটবোর্ডে ঝুলছি... টিকিটের টাকা নেই... টিকিট?... দেখা যাক...
দিন দিন মোটা হচ্ছি... ডায়েটিং-এর প্ল্যান... সামনে কষা মাংস... দেখা যাক...
ঠাণ্ডায় কাঁপছি... হাতে আইসক্রিম... ঠাণ্ডা লাগে লাগুক... দেখা যাক...
ম্যাসেজটা delivered ... reply আসেনি... দেখা যাক...
কফি শপে as promised... কফি ও এসে গেছে... তুমি? দেখা যাক...
cross country দৌড়চ্ছি ...নিঃশ্বাস হুপ হাঁপ... কমপ্লিট হবে কি? নাকি লাস্ট?... দেখা যাক...
গীটারে একটা গান... অনেক চেষ্টা করেও দুটো লাইন... দেখা যাক...
ফুটবল... টান টান ম্যাচ... সামনে ফাঁকা গোল... দেখা যাক...
কার্নিশে একটা ছোট্ট বেড়াল... হাতটা প্রায় ছুই ছুই... দেখা যাক... 
জরুরী সেই মিটিং ... সেইতাতেই লেট... বসের মুখ ভার... দেখা যাক...
পুজোর প্রস্তুতি... কমিটির মিটিং... ফান্ড টান টান...
আর বিশাল বিশাল প্ল্যান... দেখা যাক...
দিনে সব সময়... সব কিছু তেই... একটা আশা... দেখা যাক

Poem by +DIGBIJAY BANERJEE for Jhaalmuri Boisakhi




Jhaalmuri 
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...