Sunday, October 5, 2014

শ্বাপদ

শৈলশহরটির নাম করিব না। এটুকু বলিলেই যথেষ্ট, সেখানে আমাদের একটা বাড়ি ছিল। আমার পিতৃদেব মজলিশী লোক ছিলেন, একটা বড়সড় সরকারী চাকুরীও করিতেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল, অবসর লওয়ার পরে সকলে মিলিয়া সেই শৈলগৃহে বাস করিবেন । কিন্তু বিধাতাপুরুষ উল্টা বুঝিলেন, অবসর লইবার পূর্বেই তাঁহাকে তাঁহার প্রয়োজন পড়িল। মাস  ছয়েকের ভিতর তিন দিনের জ্বরে মা-ও তাঁহার অনুগমন করিলেন। ছোট বোনটি আরও বছরখানেক টিঁকিয়াছিল, একদিন অসাবধানে সিঁড়ি দিয়া নামিতে গিয়া তাহার পা ভাঙিল, সে আর সুস্থ হইল না।
বাড়িতে আত্মীয় ও শুভানুধ্যায়ীদের ভীড় কমিলে মনে পড়িল, আমি বিবাহ করি নাই এবং আমার ব্যাঙ্কে বেশ কিছু টাকা আছে । অতএব, আমি একজন মুক্তপুরুষ। ভাবনাটা ক্রমশঃ জোরালো হইয়া উঠিলে মনে হইল, কোথাও চেঞ্জে যাওয়া দরকার। পরদিনই টিকিট কাটিলাম এবং তাহারও সপ্তাহখানেক পরে লটবহর সমেত রাত্রির ট্রেনে চড়িয়া বসিলাম।
খাইয়া আসিয়াছিলাম, ট্রেনে উঠিয়া বিছানা করিয়া শুইয়া পড়িলাম। গলা অবধি কম্বল টানিয়া একটা ডিটেকটিভ উপন্যাসে মনোনিবেশ করিলাম। একটা দারুণ লোমহর্ষক স্থানে আসিয়া পড়িয়াছি, এমন সময় কে যেন ডাকিল, 'আরে,অমরদা যে !'
বিরক্তি চাপিয়া চাহিয়া দেখি, কলেজের নরেন । সে আমার চেয়ে বছরতিনেকের ছোট, কলেজে থাকিতে নাটকের দলে মাঝেমধ্যে একসঙ্গে অভিনয় করিয়াছি।কলেজ ছাড়িবার পরে তাহার সহিত যোগাযোগ ছিল না, আজ এতদিন বাদে আবার দেখা ।
বই বন্ধ করিয়া উঠিয়া বসিলাম। নরেন সামান্য মোটা হইয়াছে, রংটা আগের চেয়ে ময়লা,মাথার সামনের চুল ইতিমধ্যেই পাতলা হইতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু মুখের হাসিটি একই রকম আছে ।
জিজ্ঞাসা করিলাম, 'কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?'
খানিকটা অপ্রস্তুত হইয়া বলিল 'এই একটু বেড়াতে - ইন্দু, এদিকে এসো।' একটি হাস্যমুখী বধূ উল্টোদিকের সীটে বসিয়াছিল, উঠিয়া আসিয়া নমস্কার করিল। জানা গেল, আমার এবং উহাদের গন্তব্য একই ।
হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, ' তাহলে হনিমুনে চলেছ বল !'

Friday, October 3, 2014

Subho Bijaya

Subha Bijaya Jhaalmuri Friends.

Celebrate the occasion with delicious Rasmalai - recipe by Anindita Khan



Rasmalai is a very popular Indian desert prepared with famous bengali sweet -Rasgulla.
It is actually rasgulla soaked in rich saffron flavored creamy milk. As our most awaited Durga Puja is nearing, I wanted to post something special for all my friends.
So here is the recipe of Baked  Rasmalai, a customized version of a very popular dessert.
  
Ingredients :
-------------
Main ingredient of Rasmalai is Rasgulla.
This Rasgulla can be prepared at home or
we can buy it readymade.
Since during Puja we all want to spend
less time at kitchen, let s prepare
Rasmalai at home with readymade Rasgulla.

Milk - 1 liter
Sugar - 1/3 cup or As per your taste
Rasgulla - 10 pieces
Ghee - 1 tbsp
Cardamom powder -1/4 tsp
Saffron -7-8 strands
Pistachio -chopped - 2-3 tbsp
Almonds (blanched and thinly sliced/slivered) -2-3 tbsp

Steps :
-------
Soak the saffron in a tbsp of milk.
squeeze the rasgullas gently to take out the extra sugar syrup. Take a non stick pan and place it on a low flame.
Pour 1 tbsp of ghee on the pan. When the ghee is little heated , place the squeezed Rasgullas in it and fry them till the Rasgullas get a light brown color. Switch off the flame.
To make the saffron flavored milk (Malai), bring the milk to  boil in a deep, thick-bottomed non-stick pan . Keep the flame medium low and cook, stir, till it reduces to three-fourth of its original volume. Scrape off the cream that will collect on the sides.
Add sugar, cardamom powder and the soaked saffron .Mix them well until the sugar dissolves. Switch off the flame.
Add some almonds and pistachio and mix them well. Now take the fried rasgullas ,drop them into the creamy milk and cool it for some time.


Serve this Rasmalai with baked Rasgullas  garnished with more almonds and pistachio 



Thursday, October 2, 2014

Saptamir Sukto


অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি? মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি"- বাঙ্গালির আহারে তেঁতো, নোনতা, ঝাল, মিষ্টি, টক কিছুই বাদ যায় না। তেঁতো দিয়ে শুরু হয়, তা সে উচ্ছেই হোক বা নিমপাতা। তাই ভাবলাম আমিও তেঁতো দিয়েই শুরু করি

আমার ঠাকুমাকে পাত্রী হিসাবে দেখতে এসে তার শ্বশুরমশাই প্রশ্ন করেছিলেন "মা, তুমি শুক্তো রাঁধতে জানো? বলতো, কি কি মশলা লাগে?"পাত্রী পরীক্ষায় পাশ করেছিল। দেখি আমি কত নাম্বার পাই :)

শুক্তো রান্নাটা একটু সময় সাপেক্ষ। রান্না করতে যত না সময় লাগে, জোগাড়ে লাগে অনেক বেশী। পাঁচফোড়ন শুক্তোর একটা খুব প্রয়োজনীয় উপকরণ। ফোড়ন হিসাবে লাগে, আবার গারনিশিং এও লাগে। প্রথমে বলি মশলা তৈরির উপায়। Frying pan গরম করে 2 tspপাঁচফোড়ন আর 1 tsp সরষে অল্প আঁচে ভাজতে হবে, যতক্ষণ না সরষে ফ্যাকাসে হয়ে আসে, আর পাঁচফোড়ন এর সুন্দর গন্ধে ঘর 'ম ম' করতে থাকে।মশলা ঠাণ্ডা হলে, grinder এ গুঁড়ো করে পাশে রাখতে হবে. এবার আসা যাক শুক্তো উপকরণ এ। কিছুই বাদ যায় না, আলু, রাঙ্গালু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন,সজনে ডাঁটা-না না, তা বলে পটল বা মুলো লাগে না। শুক্তর আনাজ গুলো লম্বা slice করে কাটলে ভালো। দেখেছেন, বড়ি চাই যে, বলতে ভুলে গেছি। অপরাধ নেবেন না।

জোগাড় অনেক হোল। এবার রান্না শুরু করা যাক। বড়ি, উচ্ছে, বেগুন আলাদা আলাদা করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়ে, বাকি উপকরণ, যেমন আলু, রাঙ্গালু, কাঁচকলা সব দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। সাবধান- সজনে ডাঁটা এখন দিলে কিন্তু শুক্তোতে ল্যাংড়া আমের মত শাঁস থাকবে, ডাঁটা নয় :) প্রয়োজন মত নুন, মিষ্টি দিয়ে উচ্ছে র বড়ি মিশিয়ে দিন। এবার জল দিয়ে অল্প আঁচে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করুন। অল্প সেদ্ধ হয়ে এলে বেগুন আর সজনে ডাঁটা মিশিয়ে আর কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রান্না করুন, যতক্ষণ না সব আনাজ সুন্দর সেদ্ধ হয়।একটা পাত্রে half cup দুধ আর corn flour মিক্স করে মিশিয়ে দিন, বাঙ্গালির রান্না হচ্ছে মশাই, জমিয়ে না করলে হয়? কি বলেন? আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, এখনো বাকি আচ্ছে...বেশী না, just 1 tsp ঘি। কিচ্ছু calorie বাড়বে না। গন্ধটা কেমন আসছে বলুন??এতো তাড়া দিলে হবে না কিন্তু.. এখনো বাকি আছে। কি মুশকিল, মশলা ভেজে, গুড়িয়ে রাখলেন যে??? সেটার কি হবে. ছড়িয়ে দিন আপনার শুক্তর ওপর, আর ছবি তুলে পাঠিয়ে দিন ঝালমুড়িতে।

Recipe by +Moumita G.B for Jhaalmuri Puja Special 2014

Monday, September 29, 2014

শেষ চিঠি


হ্যালো রাই,                                                                                       কলকাতা
                                                                                                 ২০-১-২০১৩
 
তোমাকে লিখতে বসা প্রথম চিঠি, ডাকব কি বলে বা শুরুই বা করব কিভাবে তা ভাবতে গিয়ে খান কতক পাতা নষ্ট করে ফেললাম। তুমি কেমন আছো তা জানতে চাওয়ার কোনও অর্থ নেই। আজ হঠাৎ এতদিন পর তোমাকে লিখতে গিয়ে অনেক কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে আজ মনে হচ্ছে তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম আর আজকের দিন টা একই ওয়ার স্রোতে ভাসছে। সেদিনও বৃষ্টি পড়ছিল, তুমি অটো থেকে নামতে গিয়ে ছাতা সামলাতে ব্যাস্ত ছিলে। চৈত্র মাস ছিল কিনা বলতে পারবনা কিন্তু আমার মনে সর্বনাশের ঝড় হয়ত তখন থেকেই বইতে শুরু করেছিল।
না থাক, এতদিন পর সেইসব প্রসঙ্গ না তোলাই ভাল। আমিও হয়তো ভুলে গেছি অনেক কথাই। তোমার সাথে প্রথম কিভাবে কথা শুরু হয়েছিলো তা আমি মনে করতে পারিনা। একটা কমন ম্যাথম্যাটিক্স ক্লাস ছাড়া তো আমাদের মধ্যে দেখাও হতো না। তবুও আমি সেই ক্লাসটার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম, তোমার পিছু নিতাম ঠিক পেছনের সিটটা দখল করার জন্য। তোমার রনিদার চায়ের দোকান টা মনে পড়ে? রনিদার চায়ে তুফান তুলে যখন সবাই বাম কংগ্রেসি তরজায় ব্যস্ত থাকতো আর তুমি, রীতা আর তোমার সেই ঝগড়ুটে বান্ধবীটি হেটে যেত আমি রাজনীতি ছেড়ে জীবনের এক স্বপ্নিল পরিনতির জাল বুনতাম। রীতা আর কমলের জুটিটা তৈরি হতে এক বছর লেগে গেল। সেকেন্ড ইয়ার থেকেই রীতার বডিগার্ড তুমি আর কমল, তোমাকে ব্যস্ত রাখার জন্য আমাকে ভাড়া করা শুরু করল। এরকম পড়ে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করার মতো বোকা অবশ্যই আমি ছিলাম না। ভিক্টোরিয়া থেকে ময়দান, কখনও বাবুঘাত থেকে হাওড়া ব্রিজ এভাবেই কেটে যাচ্ছিল বেশ। আমরা ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম। আচ্ছা তোমার সেই দিনটার কথা মনে পড়ে? বাগবাজার ঘাটে বসে হাওড়া ব্রিজ উপচে পড়া সন্ধ্যা দেখছিলাম। এক ঝাক পাখি উড়ে যাচ্ছিল রোজনামচা শেষে। আমি তোমাকে জিগ্যেস করেছিলাম এই পাখির দল রোজ বাড়ি ফিরে যায়, আশ্রয় নেয় ভিন্ন ভিন্ন গাছের খাজে, কিন্তু পালা বেঁধে তারা ফিরে কিভাবে? তুমি বেশ কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে
তারপর আমার চুলগুলোতে আলতো হাত বুলিয়ে বলেছিলে – জীবন যদি এক সুতোয় বাধা থাকে তো সেই সুতো চোখে না দেখা গেলেও তোমাকে আমাকে বেঁধে রাখবে। যেখানেই থাকো না কেন ফিরিয়ে আনবে আমার কাছে। - কথা গুলো বলতে বলতেই তুমি অন্যমনস্ক হয়ে গেছিলে। দুচোখের কোনে মুক্তোর মতো চিকচিক করছিল গোধূলির দুঃখ। তোমার দুঃখ আমার বিস্ময়কে আঁকড়ে ধরেছিল। দুজনের চেতনা দুজনের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে তোমার ঠোট শুষে নিয়েছিল আমার পরম প্রাপ্তির বাসনাকে
তোমার জন্য কয়েকটা লাইন ও লিখেছিলাম যদিও তা দেওয়া হয়ে ওঠেনি কখনও।

যখন তুমি রইবে একা, মনের আধার ঘরে
ক্লান্তি হয়ে ছোব তোমার ঠোট, গড়ব বাসা তোমারি অন্তরে
দুচোখ ভরে অঝোর ঝরে যদি ডাকলে আমায় মনে
অশ্রু হয়ে ছোব তোমার ঠোট, স্বরলিপি বুনবো তোমার সনে
বাদল বেলার ঘনঘটা যদি নামে আকাশ করে কালো
বৃষ্টি হয়ে ছোব তোমার ঠোট, বাসব তোমায় নিজের করে ভালো।

তিনটে বছর কেটে গেল দেখতে দেখতেআমি চলে এলাম মাস্টার্স করতে। আর তুমি ডাক্তারিতে ভর্তি হয়ে গেলে। মাসে একটা করে ফোন আর একটা করে চিঠি। দুজনের মধ্যে যোগাযোগ যত ম্লান হতে লাগল পুরনো স্মৃতি গুলো যেন আর আঁকরে ধরতে লাগল আমাকে। তুমি কোনোদিন আমাকে তোমার মনের কথা বলনি, আমিও আর গড়পড়তা পাঁচটা ছেলের মতো আমাদের বন্ধুত্ব কে আগে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারিনি। ধিরে ধিরে গঙ্গার হাওয়া অ্যাটলান্টিকের শীতলতায় হারিয়ে গেল। তোমার চিঠি ইউ এস পি সের দরজায় কড়া নাড়া বন্ধ করল। আমরা হারিয়ে গেলাম কর্ম জীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিলাসিতায়। পরে কমলের কাছে জেনেছিলাম যে তুমি কোনও এক ডাক্তার ক্লাসমেট কে বেছে নিয়েছো তোমার জীবন সঙ্গী হিসাবে। আর আমি? আমি তো আজও সেই প্রিন্সেপ ঘাটের ভাঙ্গা কংক্রিট সিঁড়িতে আটকে আছি। জোয়ারের জল গুলো এসে আমার স্মৃতি তে ধাক্কা দিয়ে যায়। আর দিনের শেষে যখন সাহচর্যের ভাটা আসে একাকীত্ব অক্সিজেন খুজতে থাকে স্কচ আর সিগারেটের ধোঁয়ায়। 
দেখতে দেখতে ত্রিশটা বছর কেটে গেছে। এর মধ্যে বোহেমিয়ান জীবন যে কখন আমার লাংগস টাকে শাসিয়ে অকেজো করে গেছে বুঝতেই পারিনি। তার উপর হার্টের চোখ রাঙানি। জীবন যখন আমার সাথে শেষ বোঝাপড়ার হিসেবটা করে নিতে চাইছে আমি তাই দেশেই ফিরে এলাম। হাজার হোক আমার ই দেশ তো। যা দিয়েছে আর কেড়ে নিয়েছে তা সবই তো এই দেশ। তাই শেষ জীবনের এই জুয়া খেলাটার সুযোগ আর হাতছাড়া করতে পারলামনা। কিন্তু মূলকাণ্ডহীন এক পঞ্চাশোধর চিকিৎসার ঝক্কি ও তো কম না। যেখানে সব বড় বড় হসপিটাল আগাম আমার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করে দিয়েছে সেখানে কেই বা সই করবে বন্ডে। তাই সব হিসেবপত্র শেষে বেছে নিলাম এই নার্সিং হোম টাকে। নিজের দেওয়া বন্ডে সই করে ভর্তি হয়ে গেলাম। মৃত্যু যখন অনিবার্য তখন তা যদি তোমার হাতে আসে তা তো চরম পাওয়া। আমার হার্টের সার্জারি করছ তুমি আর তা বদলাতে তুমি শেষ বারের মতো ব্যর্থ হবে। আমার হৃদয়ের স্পন্দন ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসবে তোমার চোখের সামনে। একটাই দুঃখ থাকবে আমি তখনো তোমায় দেখতে পাবনা। ঘুমের মধ্যেই আমি ভেসে যাব এই ধুলো ভরা শহরের বাতাসে। তবু তুমি ভালো থেকো। 
এই চিঠির তুমি উত্তর লিখতেই পারো। শুধু চিঠি পাঠাবার ঠিকানা টা জানা থাকবেনা।
                                                                                                   ভালো থেকো,
                                                                                                          মৃত্যুঞ্জয় 

Composed by Rajib Chowdhury for Jhaalmuri Puja Special 2014


Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...