Saturday, February 28, 2015

আর কতদিন?

ঘরের কোণায় কোণায় ঝুল জমে যাওয়ার মতো,
এঁদো গলির আশেপাশে নোংরার স্তুপ জমে যাওয়ার মতো,
চারিদিকে ঘটে যাওয়া ছোটবড়ো সব অন্যায়
সয়ে নিয়েছি আমরা!
যেভাবে ধুলোয় ভরা ঘরে কুঁকড়ে শুয়ে দিনগত পাপক্ষয় করি,
মুখে রুমাল দিয়ে নোংরার স্তুপ অবহেলা ক'রে চ'লে যাই বারবার একই পথ দিয়ে-
সেভাবেই সয়ে নিয়েছি আমরা রোজকার অন্যায়গুলো,
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেনে নিয়েছি সব!
"কিছু করার নেই" ব'লে পঙ্গুর মতো প'ড়ে থেকেছি ঘরের এক কোণে,
"কিছু বলার নেই" বলে অসাড় জিভ নিয়ে বোবা হয়ে থেকেছি বরাবর,
"আজকের মত আমি বেঁচে গেছি ভাই" বলে ইষ্টদেবতার নাম জপ ক'রে গেছি শুধু-
অসহায়তা, দুর্বলতার দোহাই দিয়ে চিরকাল
সবটুকু সয়ে নিয়েছি আমরা!
আর কতদিন মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মত কুন্ডলী পাকিয়ে লুকিয়ে রাখবে নিজেকে?
আর কতদিন নিজের কণ্ঠস্বর রোধ ক’রে  নীরব হয়ে থাকবে অন্যায়-এর ঝাঁঝালো শব্দের কাছে?
আর কতদিন নিশ্বাস বন্ধ ক'রে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়িয়ে থাকবে?

যে ধূলোয় তোমার সর্বাঙ্গ ঢেকে যায়,
যে দুর্গন্ধ তোমার রুমাল ভেদ ক'রে ভিতরে প্রবেশ ক'রে পাকস্থলী থেকে বের ক'রে আনে সব,
যে কলরবে মিলিয়ে যায় তোমার কণ্ঠস্বর, না বলা থেকে যায় তোমার প্রতিবাদ-
শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর মোমবাতি জ্বালিয়ে কদিন চলবে?
আর কতদিন নিজের সাথে পরিজনদেরও মুখ বন্ধ করে থাকার নির্দেশ দিয়ে যাবে?
আর কতটা ক্ষতি হ'লে মনে হবে আবার স্বাধীন হবার সময় এসেছে?
সাতচল্লিশের জয় আর কতদিন পর পরাজয় ব'লে মনে হবে?
আর্তনাদ ক'রে কবে বলবে "ন্যায় চাই"?
হাতে হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর কতদিন পরে প্রতিবাদের দেয়াল গড়ে তুলবে?
ঠাণ্ডাঘরে নিজের নিশ্চিন্ত জীবনের সাথে
গুলি খেয়ে, আগুনের পুড়ে যাওয়া মানুষের সাথে মিশিয়ে দেবে নিজেকে?
কতটা দিন পেরোলে প্রমাণ করবে তোমার শরীরে মির্জাফর নয়,
রক্ত বইছে ক্ষুদিরাম, সুভাষের?
প্রশ্ন করেছো কখনও?
আর কতদিন?


Composed by +Anamitra Raha for Jhaalmuri Winter Special

Previous posts by the author

শেষ দেখা


Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.

Thursday, February 26, 2015

পরিচয়


শিপ্রা রাণী দেব। আমার বিবি। শিপ্রা রাণী নাম টা হয়ত বিবি নিজেই ভুলে গেছে। বিবি যখন আমাদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল যখন ওর বয়স- নয় বা দশ। বয়সটা ঠিক বিবি জানে না।বুড়ি মাসি – মানে ওর মা, আমাদের বাড়িতে কাজ করত।আমার তখন জন্মই হয়নি। দাদার জন্মের পর ওকে দেখার জন্য মাঝ বয়সি একটা মেয়ে খোঁজা হচ্ছিল।একদিন ভোর বেলা বুড়ি মাসির ছ নম্বর মেয়ে - যার নাম শিপ্রা রাণী দেব, মার হাত ধরে এসেছিল আমাদের বাড়িতে।আমার মা ওকে নাম জিজ্ঞেস করতেই বলে ছিল শিপ্রা।মা বললো নাম টা ভাল, কিন্ত সবসময় ডাকার জন্য একটা ছোট্ট সোজা নাম হলে ভাল হয়।ওই দিন থেকে শিপ্রার নাম হয়ে গেল শিবি।শিবি খুব ভাল ভাবে আমাদের বাড়ীর জীবনের সাথে মিশে গেল।কিছু দিনের মধ্যে পরিবারের সদস্য হিসেবেই জায়গা করে নিল।

এবার আমি জন্ম নিলাম।কথা শেখার পর ‘শিবি’ আর কোন ভাবে উচ্চারন করতে পারলাম না। তাই শিবি হয়ে গেল বিবি। আমার বিবি। বিবি আমাদের সব আবদার মেটাতো।আমার চুল বেধে দেওয়া ,সাজিয়ে দেওয়া, খাইয়ে দেওয়া সব বিবির কাজ ছিল।মার থেকে বিবির কাছে আমাদের আবদার ছিল বেশি। ও রকম ভাবেই জীবন কাটছিল সবার।বিবি নিজের বাড়ি যখন যেত, তখন আমি, দাদা আর ভাই খুব কান্নাকাটি করতাম।সাত দিনের ছুটিতে গিয়ে আমাদের কান্না কাটির ঠেলায় দুদিনে ফিরে আসত বিবি।

আমরা বড় হচ্ছিলাম আর বিবি যুবতী।হঠাৎ একদিন, বুড়ি মাসি বাপি আর মার কাছে বললো বিবির বিয়ের কথা। মা ও বাপি, বিবির বিয়ের দায়িত্ব নিজেদের হাতেই নিয়েছিলেন।এবার শুরু হল বিবির জন্য ছেলে খোজা।বুড়ি মাসি একটা দুটো বিয়ের সম্বন্ধের খবর নিয়েও আসছিল।ওর কাছেই জানা গেল ছেলের বাড়ির যৌতুক এর দাবীর কথা।মেয়ে একটু হলেও পড়াশুনো জানতে হবে, অন্তঃত নিজের নামের হস্তাক্ষরটা পারতেই হবে।আর কিছু সোনা-দানা, ছেলের জন্য একটা আংটি আর একটা সাইকেল দিলে তো কথাই নেই।সোনা দানা, ছেলের আংটি, সাইকেল ইত্যাদি দেওয়াতে কোনো অসুবিধাই ছিল না। মা বাপি তার চেয়ে বেশিই দেবেন ভাবছিলেন, কিন্ত বাধ সাধল বিবির পড়াশোনা।

বিবি সব দিকে খুব গুনী ছিল।কিন্ত স্কুলে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি ওর। তাই অ-আ-ক-খ বলুন আর A,B,C,D - সব কিছুই ওর কাছে কালো অক্ষর ছিল।বাড়িতে সবাই বেশ চিন্তায়, কি হবে এখন? সবাই  মিলে বিবিকে অ,আ শেখানোর চেষ্টায় বসলেন। বিবিও চেষ্টা শুরু করল। কিন্ত সাত দিনে কি আর পনের বছরের শিক্ষা দেওয়া বা নেওয়া যায়।তাই সবই গুলিয়ে যাচ্ছিল।ওদিকে আরো একটা পাত্রের খবর নিয়ে এলো বুড়ি মাসি। ছেলের বাড়ির লোকদের বাড়িতে আসার দিনও ঠিক হয়ে গেল। কিন্ত্ এদিকে বিবি যে অ, আ তেই আছে। ক,খ তে কবে যাবে ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না।তাই ঠিক হল শুধু নামটাই ওকে শেখানো হবে। শিপ্রা রানী দেব। বারবার বিবি ওই নামটা লিখছিলো। নামটা বিবি লিখতে শিখে গেল বা বলব জোর করে শেখানো হল।

ছেলের বাড়ির লোকরা এলো সন্ধেবেলা।বাড়িতে বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব ছিল।বিবির সাথে আমরা ভাই বোনেরাও সেজে গুজে রেডি। মা, বাপি, বুড়ি মাসি আর বিবির কিছু আত্মীয় স্বজন। প্লেট ভরতি মিষ্টি আর সিঙ্গাড়া খাওয়ার পর পাত্রের মা বিবিকে জিজ্ঞেস করলেন – ‘পড়তে লিখতে পারো?’ বিবি আমাদের সবার মুখের দিকে একবার তাকালো।তারপর বললো নামটা পারি।ভদ্রমহিলাও মেয়ে কিনতে এসেছিলেন।তাই যাচাই করতে ছাড়েননি। জানি না নিজে কতটুকু পড়াশোনা করেছিল।ছেলে তো ছিল ক্লাস এইট ফেল।বললো – ‘নাম টা লিখে দেখাও’।বিবি আবার আমাদের দিকে তাকালো আর কাঁপা কাঁপা হাতে খাতা পেন্সিল টা তুলে নিল নিজের কোলে।নাম টা বিবি লিখেছিল। কিন্ত ভয়ে ওর হাত টা কেঁপে গিয়েছিল। তাই লেখাটা ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। ব্যাপার টা ভদ্রমহিলার ঠিক পছন্দ হলো না।পরের প্রশ্ন তাই ছিল বাবার নাম টা তবে এবার লেখ। বিবি ভয় পেয়ে গেল।আর ওর সাথে আমরা সবাই।বিবি তো শুধু নিজের নাম টাই শিখেছিল, বাবার নাম টা তো ছিলো সিলেবাসের বাইরে।তাই ওই যাত্রায় বিবির বিয়ে টা আর হলনা।ও রকম অনেক লোক আসলো বিবির জীবনে, থালা ভর্তি মিষ্টি, সিঙ্গাড়া খেলো এবং শিপ্রা রাণী দেবের কাঁপা কাঁপা অক্ষরে লেখা নামটাও দেখে গেল।বিয়ে আর ঠিক হয়না বিবির।বুড়ি মাসি খুব চিন্তায়, আর ওকে দেখে আমার মা বাবা। তবে যা হয়, ভগবান নামের ভদ্রলোকটা সবার জন্যই কাউকে না কাউকে ঠিক করেই রাখে। বিবির জীবনেও ওই ভদ্রলোক চলে এলেন।বিবি কিন্ত কাঁপা কাঁপা হাতে ওর নাম টা ওই ভদ্রলোকের সামনেও লিখেছিল।বিয়ে হল বেশ ধুমধাম করেই। বিবি বেশ খুশি খুশিই শ্বশুর বাড়িতে জীবন কাটাছিল।আর আমরা ওকে ছাড়া থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম।

বিবি অন্তঃসত্ত্বা, আমি তখন ক্লাস সিক্সে, বুদ্ধিটা বরাবরই পাকা ছিল আমার।বিবিকে বললাম, “দেখ কোনো ভাবে যেন পাঁচ-ছটা ছেলে মেয়ে তোর হয় না”। বিবি গম্ভীর ভাবে আমার কথা শুনত আর এমন ভাব করত যেন দশ বছরের ‘আমি’ মেয়েটা সংসার সম্মন্ধে সব জানি।বিবি কে উপদেশ দিতে বেশ ভাল লাগত আমার।নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হত। ২রা অক্টোবর বিবির ছেলে হল - নাম রাখা হল মোহন।আবার আমি উপদেশ দিলাম। বিবি ওকে কিন্ত খুব পড়াশোনা করাতে হবে।বিবি চিন্তায় পড়ে যেত। কিন্ত নিজের অন্ধকার জীবন টা যেন ছেলের না হয়, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেত।ছেলেটার স্কুলে ভর্তির সময় হল। ইনটারভিউএ বিবি কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেনি। তাই ওর ছেলের অ্যাডমিশনটাও হয়নি। ভগবানেরও বিবির জন্য কষ্ট হচ্ছিল।ছেলেটা তাই হয়তো পড়াশুনোয় ভাল হয়েছিল।

জীবন চলতে লাগল ,অ আ ক খ আর বিবির জীবনে এলনা। কিন্ত বিবির ছেলে মাধ্যমিকে ফিফ্থ পজিসন এ আসলো। পেপার এ মোহন এর নাম বেরোল।মা বাবা কেও জিজ্ঞেস করেছিল নানা প্রশ্ন।বিবি চুপ করেই বসেছিল, পাছে ওর নিরক্ষরতার খবর বেরিয়ে পড়ে। আমার ওই দিন বিবিকে অনেক শিক্ষিত মনে হচ্ছিল।অ আ বিবি শেখেনি, কিন্তু জীবনের শিক্ষায় ও শিক্ষিত ছিল।

আজ বিবির ছেলে স্বনামধন্য ডাক্তার। গাড়ি ,বাড়ি সবই করেছে। খুব ভাল ছেলে। বিবি কে খুব ভাল করে রেখেছে।বিবি আমায় ডেকেছিল ওর বাড়িতে।ওর নতুন বাড়ির নেম প্লেটটার মধ্যে বড় করে লেখা ছিল শিপ্রা রাণী দেব।শেষ পর্যন্ত ‘শিপ্রা রাণী দেব’ নিজের নাম টা সবাই কে জানাতে পারলো।

বিবি কিন্ত আমার বিবিই থাকবে। আর আমাদের ছেলে মেয়েদের বিবি মাসি বা বিবি পিসি।


Story by +Baishali Ghosh 



Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Publication

  

Sunday, February 22, 2015

Flowers - One stroke painting



Artist : Indrani Roy 
Type : One-stroke Painting
Dimension : 16x20 canvas
Exhibited at : King's Court Castle Art Gallery Showcase, Lake Orion, MI.



Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Thursday, February 19, 2015

ভাঙা

একটা প্রেম ভেঙে গেলে,
কারো কিছু যায় আসে না।
সময় আসে, সময় চলে যায়,
দেওয়ালেতে একদিন পিঠ ঠেকে যায়,
আঁচরে, কামড়ে সেক্সের মত শ্রম,
তবু যুদ্ধের শেষে শেষ হওয়া আমরা,
ফল্গুর মত মনের ভেতর খুঁড়ি।
পুরবি মোচড়ে মধ্যম ছুঁয়ে যায়,
আমি কখনও বা মত্ত মেটালিকায়-
কখনও শরীরে রাত্রি নেমে এলে-
কবিতার নামে আঁকিবুঁকি কেটে যাই।
পৃথিবী যেমন ঘুরছিল ঘুরে যায়,
আরচিস এ লাভ কার্ডও বিক্রি হয়,
বিশ্বাস রেখে গোলাপ কিনছে কেউ,
কেউ বা গুনছে গোলাপেতে গাঁথা কাঁটা।
শেষ রাতে কোন প্রেমিকার ঠোঁট ভেজে,
কারো বা শুধু ভিজতে শিখছে চোখ।
এমনি করেই শহর জুড়ে,
কটা ভুল ভাল দিন পেরলে,
আমিও হাঁটব, তুমিও হাঁটবে-
আমরা শুধু হাঁটবে না।
একটা প্রেম ভেঙে গেলে-
আমরা- রই শুধু যায় আসে।



Composed by +Sayan Chakraborty for Jhaalmuri Winter Special

Previous works by the author
সময় 

Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Wednesday, February 18, 2015

Mugli

A tallish man in his 40’s sitting on the little shadow of a makeshift shelter had his wrinkled eyes fixed on a distant piece of cloud high above the Arabian Desert. The man placed his weathered hand above his black dry eyes, used mainly to keep watch on goats, to examine whether that exceptionally rare piece of cloud was able to soak the coarse sand below, even for some brief moments.

Can you imagine this? If you do, this is Mugli. 

Mugli is from a village called Bomenabeli in Karimnagar district of Andhra Pradesh, a short drive away from Hyderabad, thousands of kilometers away from the desert, his work place for the past 11 years.
It was on a flight from Hyderabad to Mumbai where we met Mugli. We wanted the aisle and the next seat. He reached a few minutes later,and with silent dignity, offered us the window seat. Something in him touched both me and my wife, Nandini. I saw that he had a passport and some forms, apart from his ticket. I was a bit curious, nobody carries passport on domestic flights. On asking, he explained that he is going to take another flight from Mumbai to Riyadh in Saudi Arabia, the same evening.

One word led to another and he started telling his story, interrupted by my occasional questions. He talked in his unique way – neither slowly nor quickly, in the most matter of fact way, as if he was not talking of himself, but of someone else. Born in a poor farmer’s family, Mugli has a home in his village where his wife, his three children and parents stay. His brothers and other family members are also there in the village which he hoped to visit again, not before another four years.

Eleven years back, he had paid a good amount of money to a middleman, to land up this coveted job at a near desert place, where the closest human connectivity is in a village called Al Goya, about 20 km away.
According to his contract, if we can call it one, after he would land at Riyadh, his employer Abdullah would pick him up. Abdullah has a job and family in Riyadh. But he also has this flock of goats which Muglilooks after. And he is keeping them well for the past 11 years.

“How often do you go home, Mugli?”
“Every 4 years, sahib…My employer takes my passport and other papers and I am totally dependent on him.”
“What if there is case of some emergency back home?”
“Nothing, sahib. My family can only contact Abdullah. He meets me once in 10 days or so, when he brings rice, flour, and some vegetables  for me… Oh yes, he also brings drinking water”.


Mugli has around 350 goats under his care. He gets up at 5 am, makes the kids suckle and then leaves his shanty to take the herd for grazing. There are places in the desert where shrubs grow and the animals feed on them. After working from 5 am till 1 pm, he takes a one-hour break for cooking and lunch and some rest. Then again from 2 pm to 7 pm, the farmer from India manages the grazing goats on the Arabian Desert and then calls it a day, only to start the same routine the next morning, day after day, year after year…

Once he fell ill. And he walked 10 km to reach the nearest highway, stopped a car going to Riyadh and requested those on board to pass on a message to Abdullah along with his phone number. Medicines came nine days later, along with the routine stuff. When the familiar faces of the goats become unbearable and even the occasional visit of some snakes become routine, Mugli goes out to meet some human souls. Managing a little time to go the village 20 km away, Mugli calls on some people and sometime, if he is lucky, he gets to meet some other goatherds on the way. Otherwise, the stars give him company at night in the dark dry desert.

“If you don’t mind Mugli, how much do you get?”
“I had started with 500 Riyals when I had joined, 11 years back. Now I get 700 Riyals. Abdullah sends 500 Riyals to my family, and I manage with 200 Riyals for a month. Seven hundred Riyals are around Rs 8400, Sahib.”

It’s not much money to spend such a life in exchange for, Mugli knows that. But he had not got any chance to study nor had any money. He did not have much alternative. Mugli knows a little driving. He sometimes uses the vehicle of Abdullah to get some commodities from the village, when he comes down to pass him his food. But that is not experience enough nor relevant to get him a driving job at Hyderabad. And so…

Our plane was mid-way between Hyderabad and Mumbai. We had gone from Mumbai to Hyderabad for some work, and the phenomenal growth of Hyderabad has struck a deep cord. The new airport could compete with any airport in the west. I could not absorb the absurd situation of this fellow passenger for an hour and five minutes, who is calmly living a life in an absurd condition.

Mugli had an aura of calmness around him. I asked him that is this the life what he is going to lead for the next many years. “I will come back after four years, Sahib, and I will not go back this time. I think I will do some farming in my village.”
Isn’t there any rain for Mugli, to drop from the sky on his fried frame or soul? Yes, once or twice a year, there could be some countable drops but the sand sucks that too and nothing remains as a sign of rain after a few minutes.
But Mugli remembers one rain. One night when he was sleeping, about six years back, he felt that it was raining hard outside, the flash of lightning making the vast expanse of sand appear as a gigantic wet carpet. Rainwater was dripping from the porous roof, and falling and caressing his veined forehead, closed eyes and coarse lips. Mugli jumped from his bed and ran outside his hut to get drenched. Outside, he found, it was as dry as ever before. No rain, no lightning. Only the stars were winking at him, mocking him for thinking a dream a reality. That night, the desert goatherd realized his tear glands were yet to get dried up in this barren sea of sand.

The plane landed at the Mumbai airport, I held his hand and bid him good bye. “Lord Shankar will look after you,” Mugli had a deep source of inner strength.
It is long past mid-night here in Mumbai. I was unable to sleep as the image of Mugli never moves away from our eyes. I close my eyes for a moment, and I see that a tallish figure is standing on a sand-dune, early in the morning, in a desert of Saudi Arabia. Is he seeking some thing? May be a few drops of water to perch his dry lips. May be not.

Mugli has the answer inside; he is content with his lot. He does not have any expectation. He has achieved nirvana.


Story by +Sugata Sanyal for Jhaalmuri Winter Special magazine

Previous works by the author

Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Sunday, February 15, 2015

Present Continuous...

...just wanted to show off the efforts, while it was not required, the effort of walking while I could take transport...of taking a longer route as usual just to get some whiff of the same lane ,as I knew , she would have passed a few hours back on her way back to her home from her office. The effort of counting the metres and steps....10000, 20000...maybe I was trying too hard to count while I was keeping away her thoughts from just entering my screwed head...I know it sounds crazy...and makes no sense at all. But am sure, there are times when you just do not go by normal logic, or rather logic of so called civilised folks… where things and actions are expected to be just...backed by thoughts and logic. For me, thinking without those seemed like a break to me. There is a pressure of behaving and thinking the right way. It gave me the freedom of looking at the so called normal routines from a different angle and made me wonder, what if, this was done that way and that was done this way...a random way… a way it’s not expected to be done. I was walking, and of course taking pride in what I thought about it. I used to feel a sense of relief whenever I saw myself doing something like this, I would break into a smile and a song...and feel my moment of bliss just like that.
It was a little different now, in my mind I was anxious about something or rather someone. To be specific , it was the unknown part , of what was coming next that was keeping me anxious. But why was I so bothered?


 There I was pondering over my next step...of going to her again in last two days...or to just consider if she will just find my excesses...the devil said don’t while my saint self kept mum. I felt me looking intently at myself. This would be as if I stood somewhere...and statue!! I come out of me and have a look at self...!! It was in some music video I had seen sometime...and I had thought wow!! This could mean absolute crap to somebody...but to me...it was meaningful.. as if you get a chance to have a good look at yourself...your thoughts...like from someone else’s perspective. It may be absurd...but then everything needn’t mean sense. It was as if to look judgmentally to pass a verdict on the actions I had taken.  
This would happen often and seemed at my will..anytime..anyplace...any situation. But frankly...I hated it if I found someone judging me. I felt, judging someone for one action may be so wrong to judge a person...there are so many facets ...so many things that someone does.
The turmoil, the drops of sweat felt like a strange mix...with none really mixing... somehow I felt that she will just notice...and I’ll see the look of...oh really u did it all for me...!!?? ...and then a weird look of why??...and at once I knew how stupid I would feel. Maybe I won’t tell her ...I won’t actually...and would just see her with a straight face...as if it doesn’t really matter...and that I was just passing...just like that...so believable!! ;) Would she find out the age old stale excuse that was on offer and find out...what if she did? what if she didn’t?...chances were...that she will not even care...and me...oh..I don’t care too....

I stood at the bridge looking at the river, with the noise in the background just about at a normal level of peace...the buzz, the horns...all seemed part of the peace that I was looking for. The setting seemed as if it had happened before, as if I had stood here long back , not once but so many times, maybe in a dream or some parts in some dreams. I could not recollect me at this place standing like this ever...it felt surreal...but there was a connect...a feeling of oneness and solidarity with the passing things...views...the river...what was going on? A lot actually and I wondered if this happens to others or only to blessed ones like me, who are stranded at different parts of the world standing near rivers doing nothing but to see the traffic and the river going by, don’t know. I was a bit down for many things...work...over expectant bosses...artificial people...their behaviours....Rina...a possible transfer...longing to go home...small small things ma would tell me about day to day home affairs... Cheer up dude!! Get a date!!

I decided to call her and ask her out. It sounded simple and straightforward. We had met outside before , though in company of common friends and saw it quite ok to ask if she was free for a coffee. Now these are things that I really feel..however passé..will remain. Tink tonk tink...that caller tune...pick up after this line...
hello Srijoy...
hi Rina...what`s up? Reached home? Doing something?
..yes...reached..nothing much...why?
Meet for a coffee?
Ummm...ok..where? Can’t go out for long.
Take a pick...your choice...the CCD near your place at 7?
Ok...see u!!

I shut my phone and did a goal scorer-wicket taker action. I felt nice. I smiled. I dreamt. I tripped.

Rina had never ever passed on any hint that there was more...she was good to me alright...but maybe I had taken more out of it. I was at the juncture of being almost thrown off from the job...they needed results...not a person who just rants and tries to look smart...but works smart...I could go off to another city....but she is not the one holding all my thoughts...rather...I’ve a lot to ponder on... I think I need to buck up a little. For now, the coffee better make me talk, for good.gb

The river was ,not being dramatic, in a way telling me to drop my inhibitions about what I was and what would people perceive me as...as if saying ..chill ...be your own, does it know what it is to be on your own? Maybe yes, or maybe no...I so engrossed in the flow that I wished as if it was someone I could talk to and maybe share something...it was kind of a rare soothing moment , rare indeed, the blowing wind , the dusty rails, the hawkers, their noise, their lives and I was suddenly a part of all this....my distant stare into oblivion and the feeling that there are greater messages around. It’s just when and how we find them, or they find us. I just knew something was taking shape...and I had to listen to myself to take it forward.


Story by +DIGBIJAY BANERJEE  for Jhaalmuri Winter Special



Previous Works by the author

Jhaalmuri 

Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Friday, February 13, 2015

Cakes for the season

Fruit Cake

উপকরণ
ময়দা – ১ ১/২ কাপ
চিনি গুঁড়ো – ১ কাপ
ডিম – ২
ভ্যানিলা এসেন্স – ২ ফোটা
মাখন – ৫০ গ্রাম
তেল – ২০ গ্রাম
Dry fruits (কাজু কিশমিশ আখরোট ইত্যাদি) – Rum এ ভেজানো

পদ্ধতি
১। চিনি, মাখন ও তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
২। এবার এই মিশ্রণটিতে একটি একটি করে ডিম ফেটান।
৩। ভালো করে মিশে গেলে এতে অল্প অল্প করে ময়দা মেশান।
৮। সবশেষে Dry fruits  গুলো দিন।
৫। ব্যাটার টা মোল্ড এ ঢেলে ১৯০ ডিগ্রি তে বেক করুন


Date Walnut Cake


উপকরণ
খেজুর বীজ ছাড়িয়ে পেস্ট করা - ১৯০ গ্রাম, 
আখরোট কুচি - ১/২ কাপ, 
ময়দা- ১২৫ গ্রাম, 
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ, 
মাখন - ১০০ গ্রাম, 
ডিম- ২, 
চিনি - ১২৫ গ্রাম

পদ্ধতি
১। খেজুরের বীজ ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ও খেজুর ও আখরোট একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে
২। অন্য একটি পাত্রে মাখন, চিনি ও ডিমের মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার এতে খেজুরের পেস্ট টা ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে।
৩। তাতে ময়দা ও বেকিং পাউডার এর মিশ্রণ অল্প অপ্ল করে মিশাতে হবে।
৪। এই মিশ্রণ টি কেক মোল্ড এ ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি প্রিহিট করা ওভেন এ ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।
কেক এর ওপর মেস্কারপন চিজ ও কেরামেল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করুন

Recipe by +Urmita Ghosh from Jhaalmuri Winter Special

Previous Works by the author



Jhaalmuri 


Spread Creativity. Spread Happiness.
http://from-the-jhalmuri-corner.blogspot.in/
mail: thejhaalmurigang@gmail.com

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...