ঘরের কোণায় কোণায় ঝুল জমে যাওয়ার মতো,
এঁদো গলির আশেপাশে নোংরার স্তুপ জমে যাওয়ার মতো,
চারিদিকে ঘটে যাওয়া ছোটবড়ো সব অন্যায়
সয়ে নিয়েছি আমরা!
যেভাবে ধুলোয় ভরা ঘরে কুঁকড়ে শুয়ে দিনগত পাপক্ষয় করি,
মুখে রুমাল দিয়ে নোংরার স্তুপ অবহেলা ক'রে চ'লে যাই বারবার একই পথ দিয়ে-
সেভাবেই সয়ে নিয়েছি আমরা রোজকার অন্যায়গুলো,
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেনে নিয়েছি সব!
"কিছু করার নেই" ব'লে পঙ্গুর মতো প'ড়ে থেকেছি ঘরের এক কোণে,
"কিছু বলার নেই" বলে অসাড় জিভ নিয়ে বোবা হয়ে থেকেছি বরাবর,
"আজকের মত আমি বেঁচে গেছি ভাই" বলে ইষ্টদেবতার নাম জপ ক'রে গেছি শুধু-
অসহায়তা, দুর্বলতার দোহাই দিয়ে চিরকাল
সবটুকু সয়ে নিয়েছি আমরা!
আর কতদিন মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মত কুন্ডলী পাকিয়ে লুকিয়ে রাখবে নিজেকে?
আর কতদিন নিজের কণ্ঠস্বর রোধ ক’রে নীরব হয়ে থাকবে অন্যায়-এর ঝাঁঝালো শব্দের কাছে?
আর কতদিন নিশ্বাস বন্ধ ক'রে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়িয়ে থাকবে?
যে ধূলোয় তোমার সর্বাঙ্গ ঢেকে যায়,
যে দুর্গন্ধ তোমার রুমাল ভেদ ক'রে ভিতরে প্রবেশ ক'রে পাকস্থলী থেকে বের ক'রে আনে সব,
যে কলরবে মিলিয়ে যায় তোমার কণ্ঠস্বর, না বলা থেকে যায় তোমার প্রতিবাদ-
শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর মোমবাতি জ্বালিয়ে কদিন চলবে?
আর কতদিন নিজের সাথে পরিজনদেরও মুখ বন্ধ করে থাকার নির্দেশ দিয়ে যাবে?
আর কতটা ক্ষতি হ'লে মনে হবে আবার স্বাধীন হবার সময় এসেছে?
সাতচল্লিশের জয় আর কতদিন পর পরাজয় ব'লে মনে হবে?
আর্তনাদ ক'রে কবে বলবে "ন্যায় চাই"?
হাতে হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর কতদিন পরে প্রতিবাদের দেয়াল গড়ে তুলবে?
ঠাণ্ডাঘরে নিজের নিশ্চিন্ত জীবনের সাথে
গুলি খেয়ে, আগুনের পুড়ে যাওয়া মানুষের সাথে মিশিয়ে দেবে নিজেকে?
কতটা দিন পেরোলে প্রমাণ করবে তোমার শরীরে মির্জাফর নয়,
রক্ত বইছে ক্ষুদিরাম, সুভাষের?
প্রশ্ন করেছো কখনও?
আর কতদিন?
Jhaalmuri
Spread Creativity. Spread Happiness.
No comments:
Post a Comment
Please share your valuable feedback