Monday, October 13, 2014

প্রহেলিকা


মুহূর্ত ছিল ব্যাকুল, দিন ছিল চঞ্চল আর মন ছিল স্থবির, যখন তোমায় দেখেছিলাম। পথের যে বাঁকের পরে মনে হয় যে শেষ সীমানার শুরু, তারই কোন এক প্রান্তে অদৃষ্টের মত আত্মগোপন করে ছিল এই অধ্যায়। মন বলেছিল শিশির ভেজা ঘাসের চাদর  ছড়িয়ে যে পাহাড়পুঞ্জ চিরন্তন সত্যের মত শহরকে জড়িয়ে রেখেছে সে শহরেই সম্ভব তোমায় খুঁজে পাওয়া।


হাসি ছিল, অভিমান ছিল, সুযোগ ছিল, মনোযোগ ছিল, রাত জাগা ছিল, রাঙা ভোর ছিল, ব্যাথা ছিল, হারিয়ে যাওয়া ছিল, হারিয়ে গিয়ে খুঁজে পাওয়া ছিল, গানের সুর ছিল, সুরের গান ছিল, প্রান ছিল এবং সর্বোপরি তুমি ছিলে। এখন প্রশ্নটা হল তুমি কে?


সেদিন যখন নরম মনের আলোতে তোমায় দেখেছিলাম, নীল আকাশের নীচে হাল্কা মেঘের আস্তরণে, তখন  তুমি বলেছিলে যে তুমিই আমার জীবনের একমাত্র সত্য। যে সত্য সময়ের সাথে হারিয়ে যায়না। যে সত্য কোনও গাঁথায় বন্দী হয় না, যে সত্যের কোনও মাপকাঠি নেই। প্রহেলিকার অন্তরালে তুমি নিজেকে আবৃত করে রেখেছিলে। ভোরের যে মুহূর্তে মন রাতের স্বপ্নকে বিদায় দেয়, সেই বিদায়ের সুর তুমি ধরতে। আমি কর্মব্যাস্ত দিনে, জীবনের নিয়মে, যখন প্রয়োজনীয়তাকে লক্ষ্য বলে বুঝতাম এবং লক্ষ্যে পৌঁছোবার নানান চেষ্টা করতাম, তখন তুমি তোমার স্নিগ্ধ দৃষ্টি দিয়ে আমাকে ছুঁয়ে যেতে। তোমার ছোঁয়ায় অর্থ ছিল, উৎসাহ ছিল, ইচ্ছে ছিল, উদ্দীপনা ছিল এবং সর্বোপরি তোমার উপস্থিতি ছিল। আবার সেই প্রশ্ন, তুমি কে?



মন খারাপের রাতে তুমি তোমার মনের ছায়ায় আমার মনকে আশ্রয় দিতে।  চিরন্তন না পাওয়ার ব্যাথাকে তুমি তোমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্দেশ্য দিতে।  যে উদ্দেশ্যে পৌঁছতে গেলে লাগে সময়, লাগে মিলন সুর, লাগে সুরের মিলন, লাগে অর্থ, লাগে বিশ্বাস এবং সর্বোপরি তোমায় লাগে। তবে প্রশ্নটা থেকেই যায়, তুমি কে?



এখন উত্তরের পালা। জীবন নামক যাত্রার বিভিন্ন অধ্যায় থেকে যে প্রশ্ন সঞ্চয় করেছি, যাকে ইংরিজিতে বলে "experience", সেই সব প্রশ্নের মুল প্রশ্ন একটাই। যে প্রশ্ন আমার পরিচয়কে বারবার সমাজের কাছে, আমার কাছে এবং সর্বোপরি তোমার কাছে স্থাপনা করে। তোমাকে খুঁজে পেয়েছি আমি বিখ্যাত ঔপন্যাসিকদের নামকরা নভেলে বা কোনও বিখ্যাত বক্তার বক্তৃতায় বা হারু চাষির কুঁড়েঘরে।


যখন উৎসবের কোলাহল মুখর সন্ধ্যায় মন প্রানের মিলন সুর বাজছে, তখন আমি আর তুমি আমাদের ছোট্ট নীড়ে সবার অজান্তে কোন সত্যের রচনা করতাম যার মানে বন্দী থাকত আমার চোখে আর তোমার মনে।


তুমি অবিনশ্বর এবং অসীমের অংশিদার, তুমি মুহূর্ত, তুমি স্মৃতি, তুমি বাসনা, তুমি ঘরণী, তুমি স্রষ্টা, তুমি সৃষ্টি, তুমি দ্রষ্টা, তুমি দৃষ্টি এবং সর্বোপরি তুমি হলে আমার একমাত্র পরিচয়, আমার প্রেম।


Composed by Tamojit Chakraborty for Jhaalmuri Puja Special 2014

Sunday, October 12, 2014

Saturday, October 11, 2014

হঠাৎ সময়

হাওয়া মেঘ 
কথা  দাও,
আসবে  বলো
বৃষ্টি  শেষ, 
ভিজজে মাটি  
আলোয়ে ভেজা 
স্বপ্ন , কেমন !

নীরব  মন -
আকুল  পলাশ 
ফুল  জোছনা ;
ভয়ের  সাথে  
তোমায়  চুমু .

আছ ভালো ?
কাছে -দুরে 
বলতে  পারা 
বদলে  যাওয়া  
হাতে -পায়ে 
মিলিয়ে  যায়

সহজ  অঙ্ক 
সমান -সমান, 
যোগ  গুণ 
ভাগ -
আলতো  কামড় !

বিষের দাঁত -
আঁচড়  দাগ 
ফোঁশ  ফোঁশ  আর 
ছোবল  সাথে 
সম্পর্ক ?
সই -সর্বস্ব  !

বাজে  বোকা- 
বাসব  ভালো 
তোমার  কাছে- 
রাত্রি  নেই, 
আলোর  রেণু 
ভোর  জাগানো 
ঘুমের  রেশ 

পাওয়ার   আগেই  
স্বপ্ন  হারায়ে 
স্বপ্ন -পাখি 
হাওয়ায় হাসে .

ফিরে  এসো 
আবার  এসো. 
রাত  করে  দাও 
আদর  দিয়ে 
মোম  জ্বালিয়ে 
গন্ধ গোলাপ 
ভিজিয়ে  দাও 
এক  ফালি  ঘর .

Composed by Aparajita Das for Jhaalmuri Puja Special 2014



Thursday, October 9, 2014

একালেও অব্যাহত সেকালের দুর্গা পূজা


যা চণ্ডী মধুকৈটভাদি দৈত্যদলনী যা মহিষোন্মুলিনী
যা ধূম্রক্ষণচণ্ড মুগুমথনী যা রক্তবীজাশনী

শক্তিঃ শুম্ভনিশুম্ভ দৈত্যদলনী যা সিদ্ধিদাত্রী পরা সা
দেবী নবকোটী মূর্তি সহিতা মাং পাতু বিশ্বেশ্বরী।।

যে চণ্ডিকা মধুকৈটভাদি-দৈত্য নাশিনী, যিনি মহিষাশুর- মর্দিনী , যিনি ধূম্রলোচন চণ্ড মুন্ডাশুর সংহারিণী, যিনি রক্তবীজ ভক্ষয়িত্রী , যে মহাশক্তি শুম্ভনিশুম্ভাসুর বিনাশিনী ও শ্রেষ্ঠা সিদ্ধিদাত্রী এবং নবকোটী সহচরি পরিবৃতা, সেই জগদিশ্বরী দেবী আমাকে পালন করুন
হিন্দুদের দেব-দেবীর মধ্যে জনপ্রিয়তার বিচারে অগ্রগণ্য সম্ভবত শিব ও দুর্গা। দুর্গা পুজা হিন্দুদের জাতীয় উৎসব। প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর ঋতু শরৎকাল। এই শরৎকালেই মায়ের আগমন। তাই তো দুর্গার আরেক নাম আগমনি। শরৎকালে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। শেফালি ফুলের গন্ধে, কাশফুলের সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে আকাশে বাতাসে রচিত হয় এক আনন্দময় পরিবেশের মধুর আগমনি বার্তা
পুরানে বিবৃত, গিরিরাজ হিমালয় ও মেনকার কন্যা দুর্গা। দেবাদিদেব মহাদেব দুর্গার স্বামী। সত্যযুগে রাজা সুরথ রাজ্য উদ্ধারের জন্য বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। এই পূজা বাসন্তি পূজা নামে জনাজাত। ত্রেতা যুগের শ্রী রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য অকালে দেবীর পূজা করেছিলেন। সেই জন্য শ্রী রামচন্দ্রা প্রবর্তিত দুর্গাপূজাকে অকালবোধন বলা হয়। দুর্গা হল শক্তির পূজার উৎস। দেবী দুর্গা কন্যা রূপে ও মাতা রূপে সকলের কাছে পূজিতা। দেবী দুর্গার আগমন যেমন আনন্দের, আবার বিজয়া বেদনায় ভরা। মায়ের বিসর্জনে আমরা অশ্রু ভরা নয়নে বলি মা আবার এসো।
দেবী দুর্গা সর্বস্বরূপা। দুর্গা শব্দ জীবের ১১ টি পাপ ও দুঃখ নাশ করে। তাই তিনি দুর্গা।
দুর্গা দুর্গা যেই জন বলে একবার নিশ্চয় চলিয়া যায় দুঃখ তাহার।
অসুর বিনাশের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। ইন্দ্র বরুণ আদি দেবতা, নানা অস্ত্র শস্ত্র ও নানারূপ অলঙ্কারাদি  দিয়ে মাকে শক্তিরূপা করে সাজিয়ে তুলেছিলেনতখন মায়ের চণ্ডী রূপদেবীর বাহন সিংহ। চণ্ডী রূপে ভগবতী, মধুকৈটভ মহিষাশুর শুম্ভনিশুম্ভ অসুরদের বধ করেছিলেন। জগতে শান্তি ও দেব রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন।
রামায়নের যুগে, শ্রীরামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য শক্তি প্রার্থনা করে দেবী দুর্গার অকালে পূজা করেছিলেন। সেই দুর্গা পূজার ধারা একালেও অব্যাহত রয়েছে। আজও আমরা সমান তালে পালন করে চলেছি এই উৎসব।


Composed by Jaya Deb for Jhaalmuri Puja Special 2014



পূজোর প্রাপ্তি

গল্প ১
মিতার মনে আজ খুশীর জোয়ার। রোজের একঘেয়ে সংসার-র কাজ আজ গুণগুণ সুরের ছোঁয়ায় সারা হয়ে যাচ্ছে। পূজোর আর দু সপ্তাহ বাকি।এবরের পূজো আনন্দে কাটবে আশা করছে । পাপণের হাফইয়ারলি পরীক্ষার ফল ভালো হোয়েছে,সপ্তমীর দিন দাদারা আসছে নাগপুর থেকে, আর সবচেয়ে বড় কথা তার কাজ পাগল স্বামী তপণ সেই জন্য চারদিন ছুটি নিয়েছে ।মাসকাবারি খরচ থেকে টুকটাক সরিয়ে রেখে হাজার দুয়েক টাকা জমিয়েছে মিতা,মোটামুটি একটা জামদানি শাড়ী হয়ে যাবে ।আজ শাড়ী ব্যাবশায়ী শ্যামা কে বলা আছে, নিয়ে আসবে ।কলিং বেল বাজতে ঠীকে ঝী কমলির মা ঘরে ঢুকল।চারদিন কামাই এর পর আজ আসাতে মিতা ভেবেছিলো খূব বকা দেবে ।ঊল্টে হাঊহাঊ করে কাঁদতে কাঁদতে মিতার পায়ে পড়লো সে । “কমলির বাবার খুব অসুখ, এখুনি হাসপাতালে না দিতে পারলে বাঁচবে না।যা টাকা ছিল সব খরচ হয়ে গেছে বউদি ,যেভাবে হোক কয়েকটা টাকা দাও” বিচলিত মিতা বলে “কোথায় পাবো টাকা আমি ?...কমলির মা কেঁদে যায়‌, অসহায়তা বোধহীন করে দিয়েছে তাকে ।এটাই তার শেষ ভরসার জায়গা। মিতা দ্রুত ভাবতে থাকে কোথায় পাবে সে টাকাটা ।তপনকে বলে লাভ নেই ,একটা টাকাও সে দেবে না। হঠাৎ মোবাইলটা বেজে ঊঠলো ,ফুটে ঊঠলো শ্যামার নাম। যেটা দেখেই মিতার ভাবনায় ঝিলিক দিয়ে এলো ঊপায়। কলটা রীসীভ করে ঠাণ্ডা গলায় মিতা বলে “শাড়ীটা আমি এখন নিতে পারছিনা শ্যামা ।পরে জানাব তোমাকে....”।টাকাটা নেওয়ার সময় ছলছল চোখে কমলির মা দেখল মিতার চোখ চিকচিক  করছে ।   

গল্প ২
অনু ছুটছে ,সাড়ে ৫টার বারাসাত লোকাল ধরতেই হবে তাকে । চাকরি পাওয়ার খবরটা মাকে নিজের মুখে শোনাবে।অভাব অনটনের সংসারে মাসে ৮হাজার টাকা এই পুজোর মুখে মাকে অনেকটাই নিশ্চিন্ত করবে।বাবা মারা যাবার পর সেই মায়ের একমাত্র ভরসা।পড়াটাও ছেড়ে দিতে হল যার জন্য।পঞ্চমীর সন্ধ্যার অসম্ভব ভিড় ট্রেনের দরজায় কোনমতে রড ধরে ঝুলে পড়ল অনু।উল্টোডাঙ্গা স্টেশনে ভেতরে ঢুকে যাবে এই আশায়।কিন্তু ট্রেন জোরে চলতে শুরু করলে ঘটল বিপত্তি।ভেতর থেকে এল উলটো ভিড়ের চাপ। ব্যাস ,শীর্ণ হাতের জোর পারলনা সামলাতে সেই চাপ ফস্কে গেল রড। “গেল,গেল,পড়ে গেল...”চিৎকার করে উঠলো বহু মহিলা কণ্ঠ।চেন টেনে ট্রেন থামাতে সবাই ভেবে নিল দেখবে একটা দলা পাকান শরীর ।কি্জন্ম অবাক করা ঘটনা ঘটল সবার চোখের সামনে। স্বয়ং যমের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ভাগ্যের সহায়তায় ট্রেনের দুই চাকার ফাঁক গলে দুই লাইনের মাঝে পড়ে ছিল অনু। দু তিনটে কাটা ছাড়া আর কিছু না ।“কপালের জোর”, “ভাগ্যের খেলা” ‌ইত্যাদি প্রভৃতি কথার স্রোতে ভাসতে ভাসতে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা অনু ভেবে  যাচ্ছিল তার মা কোন খবরটা শুনে বেশি আনন্দ পাবে,তার চাকরি পাওয়া নাকি তার এই পুনর্জন্ম।


Composed by Anindita Das for Jhaalmuri Puja Special 2014


Sunday, October 5, 2014

শ্বাপদ

শৈলশহরটির নাম করিব না। এটুকু বলিলেই যথেষ্ট, সেখানে আমাদের একটা বাড়ি ছিল। আমার পিতৃদেব মজলিশী লোক ছিলেন, একটা বড়সড় সরকারী চাকুরীও করিতেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল, অবসর লওয়ার পরে সকলে মিলিয়া সেই শৈলগৃহে বাস করিবেন । কিন্তু বিধাতাপুরুষ উল্টা বুঝিলেন, অবসর লইবার পূর্বেই তাঁহাকে তাঁহার প্রয়োজন পড়িল। মাস  ছয়েকের ভিতর তিন দিনের জ্বরে মা-ও তাঁহার অনুগমন করিলেন। ছোট বোনটি আরও বছরখানেক টিঁকিয়াছিল, একদিন অসাবধানে সিঁড়ি দিয়া নামিতে গিয়া তাহার পা ভাঙিল, সে আর সুস্থ হইল না।
বাড়িতে আত্মীয় ও শুভানুধ্যায়ীদের ভীড় কমিলে মনে পড়িল, আমি বিবাহ করি নাই এবং আমার ব্যাঙ্কে বেশ কিছু টাকা আছে । অতএব, আমি একজন মুক্তপুরুষ। ভাবনাটা ক্রমশঃ জোরালো হইয়া উঠিলে মনে হইল, কোথাও চেঞ্জে যাওয়া দরকার। পরদিনই টিকিট কাটিলাম এবং তাহারও সপ্তাহখানেক পরে লটবহর সমেত রাত্রির ট্রেনে চড়িয়া বসিলাম।
খাইয়া আসিয়াছিলাম, ট্রেনে উঠিয়া বিছানা করিয়া শুইয়া পড়িলাম। গলা অবধি কম্বল টানিয়া একটা ডিটেকটিভ উপন্যাসে মনোনিবেশ করিলাম। একটা দারুণ লোমহর্ষক স্থানে আসিয়া পড়িয়াছি, এমন সময় কে যেন ডাকিল, 'আরে,অমরদা যে !'
বিরক্তি চাপিয়া চাহিয়া দেখি, কলেজের নরেন । সে আমার চেয়ে বছরতিনেকের ছোট, কলেজে থাকিতে নাটকের দলে মাঝেমধ্যে একসঙ্গে অভিনয় করিয়াছি।কলেজ ছাড়িবার পরে তাহার সহিত যোগাযোগ ছিল না, আজ এতদিন বাদে আবার দেখা ।
বই বন্ধ করিয়া উঠিয়া বসিলাম। নরেন সামান্য মোটা হইয়াছে, রংটা আগের চেয়ে ময়লা,মাথার সামনের চুল ইতিমধ্যেই পাতলা হইতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু মুখের হাসিটি একই রকম আছে ।
জিজ্ঞাসা করিলাম, 'কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?'
খানিকটা অপ্রস্তুত হইয়া বলিল 'এই একটু বেড়াতে - ইন্দু, এদিকে এসো।' একটি হাস্যমুখী বধূ উল্টোদিকের সীটে বসিয়াছিল, উঠিয়া আসিয়া নমস্কার করিল। জানা গেল, আমার এবং উহাদের গন্তব্য একই ।
হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, ' তাহলে হনিমুনে চলেছ বল !'

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...