Tuesday, October 21, 2014

দশমিক

দশমিক ছিল আমার অঙ্কের সবচেয়ে প্রিয় অংশ আবার ভগ্নাংশ, 
আমার ছন্দহীন কবিতার ক্ষনিকাংশ, এই imperfect জীবনের একমাত্র শ্রেষ্ঠাংশ।

যখন দুপুরের রোদে নিজের পরিচয় পেয়েছিলাম বেনুবাবুর কাগজের দোকানে,
তখন জেনেছিলাম নিজেকে পুরুষ বলে, নির্ভয়ার ছড়িয়ে দেওয়া লজ্জার ক্লেশে।
বালুকা রাশির মত নরম জীবনে, কালের স্রোতে, ভেসে যাওয়া ঘটনার রেশে,
শেষ পর্যন্ত কুড়িয়ে পাওয়া একটি পরিচয় -
যার ৯৯.৯৯ শতাংশ বলে আমি পুরুষ।
তাও বাকি থেকে যায় দশমিকের শূন্য এক, যা বলে আমি মানুষ।
তাই ছিল দশমিক প্রিয়।
বাসে ট্রেনে রাস্তায় বন্দরে, পড়ন্ত আলোর দুরন্ত আবেগে,
শেষের শুরুর অক্লান্ত আবেদনে, সুযোগসন্ধানীর অদৃষ্ট আগমনে,
ভিড়ের মধ্যে অদৃশ্য অভিযোগে-
যখন লোভী চোখ জ্বলজ্বল করে, হেঁয়ালি করে-
তখন দশমিকের সাজে এক যুবক দেয় প্রতিশ্রুতি আগামী দিনের।

বিশ্বের অন্য এক প্রান্তে, বিভীষিকার ধর্মান্তরে,
মানব জীবনের ব্যাবসায়ে, জীবন মৃত্যুর অহেতুক আচরণে,
যখন ধর্মের বুলেটবিধ্ব শবশিবিরে ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবন ভয় পায় প্রতিবাদ করতে
তাও রয়ে যায় দশমিকের শূন্য এক প্রতিবাদী সুর, মালালার রূপে।
তাই ছিল দশমিক প্রিয়।
পিতৃতন্ত্র এবং মাতৃতন্ত্রের বিবাদে, অসীম বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে,
সেদিন একদল ভবিষ্যতের বক্তা তর্ক বেঁধেছিল আধিপত্যের প্রয়োজনে।
দুই ভাগে দল বিভক্ত ছিল সমান সমান ভাবে-
৪৯.৯৯৫ এবং ৪৯.৯৯৫ শতাংশে।
তাও রয়ে গেল দশমিকের শূন্য এক,
যারা বিশ্বাস করতো মন্ত্রকে এবং ঠেলে দিত তন্ত্রকে,
অনেক দূরে - সমাজের বাইরে, বিশ্বের বাইরে, আলোর সন্ধানে,
নিয়মিত ভালবাসার দাবীতে, স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতিতে।
তাই ছিল দশমিক প্রিয়।


Composed by Tamojit Chakraborty for Kabbo Kotha

No comments:

Post a Comment

Please share your valuable feedback

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...