A bunch of 14 wonderful Poems
Wednesday, October 29, 2014
মহানগর
ঘুম আসে কি? ঘুম আসে না এখন আমার রুক্ষ
চোখে
একলা শহর লিখছে প্রহর অনভ্যাসের হালকা নখে
কতকটা তার গাছের গায়ে জমিয়ে রাখা গল্প বলে
কতকটা সে ইচ্ছেমতন ভাসতে থাকে লেকের জলে
কতকটা তার মাখছে ধুলো পুরনো সব বইয়ের তাকে
কতকটা তার চায়ের কাপে ধোঁয়ার মত লেপ্টে থাকে
কতকটা সে দুপুর রোদে বুকপকেটে জমাচ্ছে ঘাম
কতকটা সে আপনমনে পেরিয়ে যায় চলন্ত ট্রাম
কতকটা তার আমার মতো আপিস যাবে, লাইনে দাঁড়ায়
কতকটা তার সবার মতো রোজ সকালে পালাতে চায়
কতকটা তার রাতবিরেতে স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠে
কতকটা তার জ্বলবে বলে জ্বালিয়ে নিল আগুন ঠোঁটে
কতকটা তার গোলকধাঁধায় ঘুরতে থাকে রাস্তা ভুলে
কতকটা তার ঘুমোতে যায় অজীর্ণ আর অম্লশূলে
কতকটা তার মানছি আমি, কতকটা সে মানবে আমায়
কতকটা তার হলদে হাতে মুছবে আঙুল ব্যস্ত জামায়
কতকটা সে ঠিক বুঝেছে, কতকটা সে উল্টো বোঝে
কতকটা সে ঝগড়া থামায়, কতকটা সে ফিকির খোঁজে
কতকটা সে মানতে নারাজ, কতকটা সে দিব্যি রাজি
কতকটা সে সহজ সোজা, কতকটা তার ধান্দাবাজি
কতকটা সে নিজেই বাঁচে, কতকটা তার বাঁচছি আমি
কতকটা তার বেজায় খেলো, কতকটা তার বড্ড দামী
কতকটা সে কাব্য লেখে পুরনো সব চিঠির ভাঁজে
কতকটা সে তেঁতুলজলের গন্ধ খোঁজে বুকের খাঁজে
কতকটা তার ঘুমিয়ে থাকে বারান্দাতে টবের গাছে
কতকটা তার শীতবিকেলে ছাদের কোণে জড়িয়ে আছে
কতকটা সে সিঁড়ির নীচে ছড়িয়ে রাখা খেলনাগাড়ি
কতকটা তার দেওয়াল লিখন, কতকটা তার নিজের বাড়ি
কতকটা তার গল্পের বই, কতকটা তার গানের খাতা
কতকটা তার বাসের সিটে হারিয়ে আসা একলা ছাতা
কতকটা সে আলমারীতে ন্যাপথালিনে জড়িয়ে রাখে
কতকটা সে স্নানের পরে ভিজে চুলের গন্ধ মাখে
কতকটা তার দাঁড়িয়ে থাকে রেলিং ঘেঁষে সন্ধেবেলা
কতকটা তার কান্নাহাসি, কতকটা তার কেবল খেলা
কতকটা তার সইয়ে-থাকা , কতকটা তার বাঁচামরা
কতকটা তার সরিয়ে-রাখা, কতকটা তার ঝাঁপিয়ে-পড়া
কতকটা তার সব-পেয়েছি, কতকটা তার 'এবার আসি?'
কতকটা তার টাটকা নতুন, কতকটা তার নেহাত বাসি
কতকটা তার প্রথম চুমু, কতকটা তার প্রথম শরীর
কতকটা তার শেষের লোকাল, কতকটা তার নির্দয় ভীড়
কতকটা তার গর্জে ওঠা, কতকটা তার ঝিমিয়ে পড়া
কতকটা তার বাঁধন-ছেঁড়া, কতকটা তার আঁকড়ে ধরা
কতকটা তার ঘুমিয়ে থাকে শান-বাঁধানো রোয়াক পেলে
কতকটা তার নষ্ট মেয়ে, কতকটা তার দুষ্টু ছেলে
কতকটা সে সাদায় মিশে, কতকটা সে রঙীন শাড়ি
কতকটা তার আড্ডা তুমুল, আর বাকিটা ' যাও তো, আড়ি'
কতকটা সে ইঁটের বুকে মুখ গুঁজেছে খুব আরামে
কতকটা তার আনছে কিনে রোদ্দুররঙ অল্প দামে
কতকটা সে পথ ভুলেছে, কতকটা সে নিচ্ছে চিনে
কতকটা সে দেখছে আকাশ বাতিল-হওয়া মুড়ির টিনে
কতকটা সে বাঁচছে ভীষণ , কতকটা তার রোজই মরে
কতকটা তার বড্ড রেগে, কতকটা তার খুব আদরে
কতকটা সে নিজের মতন, কতকটা সে আমার পাশে
ঝিম-ধরানো সন্ধেবেলা পোটলা কাঁধে থাকতে আসে
কতকটা তার আমায় কাঁদায়, কতকটা সে কাঁদছে নিজে
কতকটা তার পায় না ভেবে বলতে হবে কোথায় কী যে
কতকটা তার লালচে-সবুজ , কতকটা তার বড্ড কালো
কতকটা তার বদ্ধ পাগল, কতকটা তার মানুষ ভালো ....
Composed by +anwesha sengupta for Jhaalmuri KabboKotha
হাস্নুহানা
পাড়ার সবচেয়ে পড়ুয়া ছেলেটা /
হঠাৎ চাঁদা তোলার দলে /
চাঁদা চাইতে গিয়ে একবার দেখা হয়ে যায় যদি
!
সবচাইতে বিশ্ববখাটে টা /
পাজামা পাঞ্জাবি তে অষ্টমীর সকালে মন্ডপে!
অঞ্জলির ফুল দিতে গিয়ে যদি একটু আলগা ছোয়া
....
ডানপিটে গেছো মেয়েটিও মায়ের শাড়ীতে অচেনা আজ/
চোরা চাহনির আদান প্রদান !
মুখচোরা এবং লাজুক ছেলেটি /
বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে রাজি/
কি জানি,
বাজনায় সংগত করতে গিয়ে বরফ গলে যদি..
হেমন্তের ক্লান্ত অবসন্ন সন্ধ্যে ,
মন্ডপ খালি
, উত্সব শেষ
শুধু হাস্নুহানার গন্ধে ভরা রাস্তা -
আর কিছুটা ভালবাসার গন্ধ
!!
Composed by +Sucharita Das for Jhaalmuri KabboKotha
শিল্পী
শিল্পী তুমি মিথ্যে কথা
বলো?
গরিবী নিয়ে আঁতলামি ক’রে
নিজে সাতনলা হার পড়ো?
“একটুও সাজি না” ব’লে মাসকারা
পরো?
শিল্পীদের তো মনটা অনেক
বড়!
তবে তুমি শিল্পী কেমনতর?
শিল্পী তুমি শিল্পের বড়াই
করো?
সৃষ্টি নিয়ে নয়ছয় ক’রে
বড়লোকদের তাঁবেদারি করো?
অমূল্য ব’লে দাবি ক’রে
সৃষ্টি বিক্রি করো?
শিল্পীদের তো মনটা অনেক
বড়!
তবে তুমি শিল্পী কেমনতর?
শিল্পী তুমি নিজেকে সততার
মোড়কে মোড়ো?
নিজের সৃষ্টির আড়ালে
দাঁড়িয়ে
স্রষ্টাদের নিন্দা করো?
ঘুষ দেওয়ানেওয়া বজায় রেখে
নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ
করো?
শিল্পীদের তো মনটা অনেক
বড়!
তবে তুমি শিল্পী কেমনতর?
হাজার বছর পেরিয়ে গেছে,
আরও হাজার পেরোবে।
শিল্পী তুমি কবে বলো
সত্যি শিল্পী হবে?
সততা আর সরলতা নিয়ে
স্রষ্টা যেদিন হবে-
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
শুধু সৃষ্টিতে মত্ত হবে-
সেদিন তোমার সৃষ্টি দিয়ে
ঈশ্বরকে পাবে-
জেনো- তুমি সেদিন তুমি
সত্যি শ্রেষ্ঠ শিল্পী হবে!!
Composed by +Anamitra Raha for Jhaalmuri KabboKotha
Tuesday, October 28, 2014
শব্দ মণিকারের চোখে
কত গল্প পড়ে থাকে কাঁথা মুড়ি দিয়ে,
ঘরের কিনারে কোনো কোণে।
কত গল্প ঘুরে ফেরে শহরে,
বাজারে,
পথেঘাটে।
কত গল্প ছুটে যায় অশ্বমেধের ঘোড়া হয়ে
ইতিহাস হবে বলে পৃথিবীর ভূগোল বানায়।
হা হা রবে কত গল্পে ঝরে পড়ে সৃষ্টির উপরে,
ধ্বংসের মহামহোৎসবে,
রক্তপদ্ম
স্রোতে ভেসে যায়।
আমি শুধু শব্দমণিকার,
বেদনার্ত
আশাভরা চোখে
শব্দবন্ধে ধরে রাখি পৃথিবীর অশ্রু,
রক্ত,
ঘাম।
A poem by Bratati Chakraborty for KabboKotha
সেই বৃষ্টি ঝরা বিকেলটা
নিবিড়, তোমার মনে পড়ে? অনেক বছর
আগে
পাতা ঝরা দিন ছিল, ছিল পড়ন্ত বিকেল
প্রহর শেষের আলো ছিল, ছিল বাড়ি ফেরার তাড়া
নিবিড়, সেদিন তোমার চোখে আগুনের রঙ ছিল
পথের ধারে ঘাসফুল ছিল, ছিল সেই বুড়ো গাছটা
নাম না জানা পাখী ছিল, ছিল ইচ্ছে লাগামছাড়া
নিবিড়, সেদিন তোমার অবাধ্য মন ছিল
কিছু ইচ্ছে ছিল, ছিল বাঁধন ভাঙার দিন
শেষের কবিতা ছিল, ছিল কবিতার শেষ
নিবিড়, আজও কি তোমার মনে পড়ে সেকথা?
দিনের শেষে আগামীর প্রতিশ্রুতি ছিল, ছিল ফাঁকি দিয়ে আমার চলে যাওয়া
কিছু চাওয়া ছিল, ছিল কিছু দিয়ে যাওয়ার রেশ।
নিবিড়, সেদিন হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছিল
অবিশ্রান্ত ধারায় ভিজে যাওয়া ছিল, ছিল প্রকৃতির অনুযোগ
উষ্ণতার আশ্রয় ছিল, ছিল ছন্দবিহীনের অন্তমিল
নিবিড়, সেদিনটা কি এমনটাই ছিল?
অনুরোধ ছিল অনুযোগ ছিল, ছিল হারিয়ে গিয়ে ফিরে পাওয়া
অনুভুতির অনুরণন ছিল, ছিল সুখের পরশ অনাবিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)