একটা কাঠের
বাড়ি
বাড়িটার
চারদিকে তখন সাজ সাজ রব
পৃথিবীতে
নতুন অতিথি এসেছে আজ
উলুদ্বনি, মিষ্টিমুখ আনন্দের ঝরনায় বর্ষিত হয়ে-
ছোট শিশু বড়
হচ্ছে।
অভিভাবক চান
খোকা,
তাদের হাতের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে থেকে
শাসন করুক
গণ্ডির বাইরের বিশ্বকে।
একদিন সুবোধ
খোকা জানতে চায়,
পৃথিবীর শেষ
ষ্টেশন কি?
সকালের চা আর
খবরের কগজের মধ্যে
গোটা বিশ্বকে
হাতড়ে বেড়ানোর চেষ্টায় মশগুল
অভিভাবক
সামনের প্রাসাদ বাড়িটার দিকে
আঙুল তুলে
চিহ্নিত করলেন,
হয়ত বা তাছিল্য ভরে।
রোজ সূর্য
দিন আনে আর ছোট শিশু তারা গোনে
ইচ্ছে থাকলেও
যাকে সুযোগ নেই ছোঁয়ার
তবু মনে
অদম্য ইচ্ছা পৃথিবীর শেষ ষ্টেশন দেখবার
অঙ্কের খাতায়
পেন্সিল দিয়ে ইট গেঁথে
তৈরি হয় এক
একটা বাড়ি
আর মোছে, শুধু ধুলো গুলি এক কোনে জমা হয়।
একদিন সূর্য
এমন একটা দিন নিয়ে এল
যেদিন খোকার
নাম আর শুধু নাম নেই
একটা
নেমপ্লেট হয়ে বড় বাড়ির সামনে ঝুলছে।
সে বাড়ি থেকে
তারারা খুব কাছে,
কিন্তু
তারার আলো
থেকে খোকা খুব দূরে
নরম বিছানায়
শুয়েও সে আর স্বপ্ন দেখেনা
কারন আরও
স্বপ্নের যোগান নেই তার
এয়ার
কন্ডিশনড ঘরে বসে মনে হয়
অক্সিজেন
মাস্ক পড়ে ছুটছে সে কাঠের ঘরটাতে,
হাওয়া চাই
তার।
একদিন যে
খোকা ছিল,
সে অভিভাবক হলেন
তার কাছেও
প্রশ্ন আসে পৃথিবীর শেষ ষ্টেশন কোনটি?
মাস্ক খুলে
দীর্ঘ নিশ্বাসের ধোঁওয়া উড়িয়ে বলে,
একটা খোলা
মাঠ,
যেখানে যাওয়া আসা অবাধ ভাবে চলে।
আপনি দুর্দান্ত লেখেন যে! কোন ব্র্যান্ডের কলম দিয়ে লেখেন, বলুন না!
ReplyDeleteKidding aside: After a long time on your blog and had a fun time! Thank you for filling up my senses.
http://www.myselfnusrat.wordpress.com